২০২৪ সালে এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা : প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয়

আপনি কি এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।

বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসায় বাংলাদেশের নাম বিশ্বের সবার কাছে পরিচিত। এজন্য বাংলাদেশ থেকে এক্সপোর্ট ব্যবসা করা খুব লাভজনক হতে পারে।

এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা

এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের কাপড়ের চাহিদাও ব্যাপক রয়েছে। তাই আপনি যদি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চান । তাহলে আজই এই ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করুন ।

আজ আমি এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন।

এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা

এক্সপোর্ট ব্যবসা শুরু করার আগে বেশকিছু বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে খুব সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন । চলুন আলোচনার শুরু করা যাক।

১, বাজার গবেষণা:

প্রথমত সব ধরনের ব্যবসার জন্য বাজার গবেষণা করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর যেহেতু আপনি বহির্বিশ্বে মার্কেটিং করবেন এজন্য সে সব দেশের বাজার চাহিদা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে।

বিভিন্ন দেশের ফ্যাশন ট্রেড, এবং তাদের কাপড়ের চাহিদা সম্পর্কে আপনাকে পণ্য জ্ঞান রাখতে হবে।

২, পর্ণ্য নির্বাচন:

আপনি কোন ধরনের কাপড় বিশ্ব বাজারে এক্সপোর্ট করবেন তা আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে।

শুধু পুরুষের কাপড় এক্সপোর্ট করবেন নাকি মহিলাদের কাপড় এক্সপোর্ট করবেন। না ব্যবসা বিস্তৃত করতে সব ধরনের কাপড়ই এক্সপোর্ট করবেন, প্রথমে তা নির্বাচন করতে হবে।

৩, গুণগত মান বজায় রাখা:

ব্যবসার ক্ষেত্রে সততাই আপনার মূলধন। সুতরাং সব সময় পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা। আর যেহেতু আপনি বহির্বিশ্বে এক্সপোর্ট ব্যবসা করবেন , এজন্য আপনাকে কাপড়ের গুণাগুণ ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখতে। কারণ তাদের চাহিদা সর্বদা ভালো জিনিসের প্রতি হয়ে থাকে।

৪, ডিজাইন:

আপনার কাপড়ের ডিজাইন এর প্রতি খুব বেশি খেয়াল রাখতে হবে। এবং আপনার বহির্বিশ্বের কাস্টমারদের চাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে আপনাকে কাপড়ের ডিজাইন করতে হবে।

এজন্য প্রয়োজনে আপনি একজন ভাল কাপড় ডিজাইনার রাখতে পারেন।

৫, সরবরাহকারী:

এক্সপোর্ট ব্যবসার জন্য আপনাকে একজন বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী রাখতে হবে।

যে সময় মত কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং এবং বিশ্বস্ততার সাথে কাস্টমারদের কাছে তাদের অর্ডার পৌঁছে দিবে।

৬, ব্রান্ডিং:

আপনি যেহেতু বিশ্ব বাজারে এক্সপোর্ট ব্যবসা করবেন, তাই আপনার জন্য একটি সুন্দর ব্রান্ড তৈরি করা জরুরী।

কারণ বহির্বিশ্বে মানুষ ব্রান্ডকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। সুতরাং আপনার পণ্যের জন্য একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে।

৭, মার্কেটিং:

ব্যবসার জন্য মার্কেটিং করা একান্ত জরুরী বিষয়। আপনার পণ্যের যত বেশি প্রচার-প্রসার হবে আপনি তত বেশি সেল করতে পারবেন।

সুতরাং বহির বিশ্বে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে হলে বিভিন্ন মার্কেটিং চ্যানেলের মাধ্যমে তা প্রচার প্রসার করতে হবে।

৮, বিক্রয় চ্যানেল:

এক্সপোর্ট ব্যবসার জন্য আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং ট্রেড শো ব্যবহার করতে পারেন।

পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে দক্ষ লোক নিয়োগ দিয়ে বহির্বিশ্বে সরাসরি কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

৯, কাগজপত্র:

যে কোন ব্যবসার জন্য কাগজপত্র করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর আপনি যেহেতু এক্সপোর্ট ব্যবসা করবেন।

সুতরাং আপনার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূর্ব থেকেই তৈরি করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স এবং এক্সপোর্ট ব্যবসার জন্য আলাদা করে লাইসেন্স আপনাকে তৈরি করতে হবে।

১০, ব্যাংকিং:

যেহেতু আপনি এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা করবেন অর্থাৎ বিশ্ববাজারে ব্যবসা করবেন, সাতরাং আপনার জন্য আন্তর্জাতিক লেনদেনের প্রয়োজনে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।

যেখানে আপনি বহির্বিশ্বের যে কোন দেশের সাথে আর্থিক লেনদেন করতে পারেন। তাহলে আপনার এক্সপোর্ট ব্যবসা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

উপরে আলোচিত বিষয় গুলো মাথায় রেখে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে। একটি সফল ব্যবসার জন্য আপনাকে এভাবে পূর্ব পরিকল্পনা করেই বিশ্ববাজারে এক্সপোর্ট ব্যবসার জন্য নামতে হবে।

এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসার জন্য আপনাকে আরো কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে:

১, মূলধন:

যেহেতু আপনি বিশ্ববাজারে এক্সপোর্ট ব্যবসা করবেন, সুতরাং তুলনামূলকভাবে আপনার মূলধনের পরিমাণটা একটু বেশিই লাগবে।

এজন্য আপনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন। তবে প্রতিটি খাতে প্রয়োজন অনুপাতে খরচ করতে হবে।

২, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন:

এক্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের থেকে ভালো মন্দ পরামর্শ নিতে পারেন। এতে আপনার ব্যবসা করা সহজ এবং ফলপ্রসূ হবে।

পরিশেষে বলবো :

উপরে এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন : 

আমি সবসময় নতুন জিনিস শিখতে এবং ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করি। তাই সকল ধরনের বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কিত নতুন বিষয় তুলে ধরাই আমার মূল লক্ষ্য।

Leave a Comment