২০২৪ সালে কীটনাশক ব্যবসার আইডিয়া: হয়ে উঠুন একজন সফল উদ্যোক্তা ।

আপনি কি কীটনাশক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতেছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।

আমাদের বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। সুতরাং এখানে কীটনাশক ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত স্থান।

কীটনাশক ব্যবসার আইডিয়া

আর যেহেতু কৃষি চাষাবাদ পরিমাণে বেশি হয়ে থাকে , এজন্য চাহিদা বহুল হওয়ার কাণে কীটনাশক ব্যবসা টি অনেক লাভজনক ব্যবসা হয়ে গেছে।

তবে কীটনাশক ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ভালো হবে। তাই আজ আমি কীটনাশক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। অতএব আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।

কীটনাশক ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪

আমি নিচে কীটনাশক ব্যবসা করতে অতিব প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কীটনাশক ব্যবসা শুরু করতে হলে আগে আপনাকে কীটনাশক সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে ।

এজন্য প্রথমে কীটনাশক সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়া হলো।

উপাদানের দিক বিবেচনা করে কীটনাশক ৩ প্রকার।

  1. জৈব কীটনাশক: সাধারণত উদ্ভিদ, প্রাণী অথবা ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপাদিত কীটনাশক কে জৈব কীটনাশক বলে। এ কীটনাশক পরিবেশবান্ধব এবং মানুষের জন্য কম ক্ষতির কারণ হয়। যেমন: নিম তেল, ব্যাসিলন, থুরিঞ্জিএনসিস (Bt) টক্সিন ইত্যাদি।
  2. অজৈব কীটনাশক: খনিজ পদার্থ থেকে উৎপাদিত কীটনাশক কে অজৈব কীটনাশক বলে। এ কীটনাশক সাধারণত খুব বিষাক্ত হয় এবং পাশাপাশি পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন: কপার সালফেট, লেড আরসেনেট ইত্যাদি।
  3. সংশ্লেষিত জৈব কীটনাশক: ল্যাবরেটরিতে তৈরি এক ধরণের জৈব কীটনাশক। এ কীটনাশক খুব কার্যকর হয়। তবে পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেমন: অর্গানোফসফেট, কার্বামেট, পাইরেথ্রয়েড ইত্যাদি।

কীটনাশক ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া এর জন্য যে বিষয়গুলো লক্ষনীয় তা নিচে দেয়া হলো:

১, বাজার গবেষণা:

যে কোন ব্যবসা শুরু করতে আগে বাজার গবেষণা প্রয়োজন। বাজার গবেষণার মাধ্যমে আপনি ব্যবসার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবসার পদ্ধতি বুঝতে পারবেন।

যেমন : আপনার কোন বন্ধু বান্ধব এই ব্যবসায় জড়িত থাকলে তার থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।

২, লাইসেন্স করা:

একটা বিষয় খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে। যে কীটনাশক ব্যবসা এর জন্য আপনার লাইসেন্স করা অত্যন্ত জরুরি।

আপনি লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা শুরু করলে আইনগত অপরাধী সাব্যস্ত হবেন। এজন্য আপনার জেল জরিমানা ও হতে পারে।

এজন্য কীটনাশক ব্যবসা শুরু করার আগেই লাইসেন্স করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইন থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারেন অথবা সরাসরি আপনার উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবেন।

৩, পুঁজি:

যে কোন ব্যবসার জন্য একটি মৌলিক উপাদান হলো পুঁজি বা মূলধন। এজন্য পুঁজি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

কীটনাশক ব্যবসার জন্য কি পরিমান পুঁজি লাগবে তা নির্ভর করে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর।

অর্থাৎ আপনার ব্যবসা যদি এলাকাভিত্তিক হয় তাহলে এক ধরনের পুঁজি লাগবে, অথবা যদি ইউনিয়ন ভিত্তিক হয় , তাহলে এক ধরনের পুঁজি লাগবে, অথবা যদি উপজেলা বা জেলা ভিত্তিক হয় , তাহলে সে পরিমাণের পুঁজির প্রয়োজন হবে।

সুতরাং আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী আপনাকে পুঁজি বা মূলধন ম্যানেজ করতে হবে।

৪, স্থান নির্বাচন:

কীটনাশক ব্যবসা আপনি চাইলে যে কোন স্থানে করতে পারবেন না। যেমন আশেপাশে কোন খাবারের দোকান থাকলে , আপনাকে সেখানে কীটনাশক ব্যবসা করার অনুমতি দিবে না।

এজন্য আপনাকে দেখেশুনে একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। এবং আপনার দোকানের দু’টো রুম অতবা দু’টো পাট থাকতে হবে।

অর্থাৎ আপনার শোরুম থাকবে একটি আর দ্বিতীয়টি হবে আপনার কীটনাশকের গোডাউন।

৫, গ্রাহক সেবা:

আপনার ব্যবসা যেহেতু কৃষকদের কে ঘিরে। এজন্য নিজের একটু লাভের জন্য তাদের কে ভূয়া কীটনাশক দিবেন না।

এতে আপনার ব্যবসা নষ্টের পাশাপাশি আপনার বিরুদ্ধে মামলা ও হতে পারে। আর তাদের কে সব সময় কীটনাশক সম্পর্কে ভালো ধারণা দিবেন।

৬, যোগ্যতা:

কীটনাশক ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট কোন যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন হয় না। তবে কীটনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা থাকতে হয়।

যেমন – কোন রোগের কি কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। তবে এগুলো আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি কীটনাশক দেওয়ার সময় বুঝিয়ে দিবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনাকে কৃষকদের মনে একটা জায়গা করে নিতে হবে।

পরিশেষে বলবো :

উপরে কীটনাশক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন :

আমি সবসময় নতুন জিনিস শিখতে এবং ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করি। তাই সকল ধরনের বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কিত নতুন বিষয় তুলে ধরাই আমার মূল লক্ষ্য।

Leave a Comment