আপনি কি দুধের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতেছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
আমাদের দেশ বলে নয় , বরং সারা বিশ্বে দুধের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সকালে ঘুম থেকে উঠে দুধের চা বা কফি দিয়ে শুরু হয়।
আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ বা দুধের তৈরি আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার প্রয়োজন হয়।
এজন্য দুধের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। কারণ, সারা বছর জুড়ে দুধের চাহিদা থাকে।
তবে দুধের ব্যবসা করতে হলে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও জানা থাকা প্রয়োজন।
তাই আজ আমি দুধের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। অতএব আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।
দুধের ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
আমি নিচে দুধের ব্যবসা শুরু করা থেকে নিয়ে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত আলোচনা করবো।চলুন আলোচনা শুরু করা যাক ।
১, ব্যবসার ধরণ:
আমাদের দেশে দুধের ব্যবসা দুই ভাবে করা যায়।
- গরু লালন করে দুধ বিক্রি ।
- দুধ পাইকারি ক্রয় করে খুচরা দরে বিক্রি ।
১. গরু লালন করে দুধ বিক্রি :
(ক) গরু লালন করা:
দুধের চাহিদা ব্যাপক থাকায় , আপনি যদি ভালোভাবে দুধের ব্যবসা করে লাভবান হতে চান তাহলে আপনার জন্য গরু লালন করা প্রয়োজন।
কেননা, শুধু মাত্র দুধ বা দুধ চা খাওয়ার জন্য দুধের প্রয়োজন হয় না। বরং দুধ কে ঘিরে বিভিন্ন ধরণের খাবার প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়।
যা নিত্যদিনে সচরাচর মানুষের প্রয়োজন দেখা দেয়। এজন্য বড় আকারে দুধের ব্যবসা করতে হলে কয়েকটি গরু লালন পালন করা দরকার।
(খ) ভালো জাতের গরু লালন করা:
যে গরু বেশি দুধ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে এমন গরু লালন করতে হবে।বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি দুধ দেওয়ার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে হোলাস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।
হোলস্টাইন অর্থ সাদা-কালো ডোরাকাটা আর স্থানের নাম হলো ফ্রিজল্যান্ডের, এজন্য দুটো কে একসাথে মিলিয়ে এই গরুর নাম রাখা হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।
জনপ্রিয় এই জাতের গরুর মূল আধিনিবাস হলো জার্মানিতে। মূলত জার্মানির কালো জাতের গরু এবং নেদারল্যান্ডের সাদা জাতের গরুর সংমিশ্রণের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয় এই নতুন জাতের গরু।
সাদা-কালো মিলনে জন্ম নেয়া এই গরুর দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা সবাইকে চমকে দেয়। এই জাতের গরু এখন আর শুধু জার্মানি কিংবা নেদারল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এমনকি আমাদের বাংলাদেশ ও তার বাহিরে নয়।
পাশাপাশি অর্জন করেছে বিশেষ খ্যাতিও। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুধ প্রদানের কারণে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানের জাতের গরু অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
(গ) দুধ বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয়:
আপনার খামারের গরুর দুধ বিক্রি করতে একটি জার এর প্রয়োজন হবে। এতে করে দুধ ভালোভাবে আনা নেয়া করা যায়। এবং দুধ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বিভিন্ন বড় বড় ফ্যাক্টরির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারা নিয়মিত আপনার থেকে দুধ নিয়ে যাবে।
২, দুধ পাইকারি ক্রয় করে খুচরা দরে বিক্রি:
আমাদের সমাজে দুধের ব্যবসা করার দ্বিতীয় ধরণ হলো ; বিভিন্ন গরুর খামার থেকে পাইকারি দরে বেশি করে দুধ ক্রয় করে ননিয়ে খুচরা দরে বিক্রি করা।
যেমন – এলাকায় একটি দুধের দোকান দেওয়া। সেখানে দুধ মওজুদ করে রাখা। তারপর খাটি দুধের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে বিক্রি করা হয়।
এবং রেগুলার কাস্টমারদের বাসায় গিয়ে দিয়ে আসা। এবং দোকান থেকে খুচরা বিক্রি করা। এ ধরণের দুধ ব্যবসা ও অনেক লাভজনক।
পাশাপাশি দুধের ব্যবসাটি আরো বড় পরিসরে করতে আপনি ঘরে বসে দুধ দিয়ে দই অথবা আইস্ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। বিশেষ করে গরমের দিনে দই এবং আইস্ক্রিম এর চাহিদা অনেক বেশি থাকে।
মূলধন:
আপনার ব্যবসার ধরণের উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসার মূলধন। আপনি যদি গরু লালন করে বৃহত্তর পরিসরে দুধের ব্যবসা করতে চান, তাহলে একটি খামারে ৪-৫ টি গরু আপনাকে রাখতে হবে।
আর যদি পাইকারি দরে দুধ ক্রয় করে খুচরা দরে বিক্রি করতে চান, তাহলে দোকান সহ সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি এই লাভজনক দুধের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে দুধের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : ১০০০ টাকায় ব্যবসা করার দারুণ ১০টি আইডিয়া, প্রতিমাসে ৩৫০০০ টাকা আয়