আপনি কি ধানের স্টক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
কৃষি প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। এজন্য ধানের ব্যবসা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী এবং লাভজনক একটি ব্যবসা।
সুতরাং আপনি যদি ধানের এই স্টক ব্যবসা করতে চান তাহলে আমি মনে করবো ,আপনি ভালো একটি ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছেন।
তাই আমি ধানের স্টক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
ধানের স্টক ব্যবসা আইডিয়া
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা ধানের এই স্টক ব্যবসা নিয়ে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ধানের স্টক ব্যবসা শুরু করার পূর্বে জরুরী বিষয়গুলো :
প্রথমে ধানের এই স্টক ব্যবসা শুরু করার পূর্বে যেসব বিষয়গুলো জানা খুব জরুরী আমরা সেগুলো বিস্তারিত জানাবো।
১, বাজার গবেষণা:
ব্যবসায় লাভবান হওয়ার অন্যতম একটি টিপস হল ব্যবসার শুরু করার পূর্বে বাজার গবেষণা করা।
আপনি যেহেতু ধানের এই স্টক ব্যবসা করবেন, সুতরাং আপনার জন্য ধানের বাজার নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
যেমন- স্বাধীনতা বাংলাদেশে দুই সিজনে অনেক প্রজাতির ধান চাষ করা হয়ে থাকে। কোন সিজনে কোন ধান চাষ করা হয়, এবং কোন ধানের দাম কেমন থাকে, এবং সাধারণ মানুষের মাঝে কোন ধরনের ধানের চাউলের চাহিদা থাকে।
মূলত সারা বছরই ধানের ব্যবসা চাহিদা থাকে। তবে সবচেয়ে কোন ধানের চাহিদা বেশি আপনাকে তা খুঁজে বের করতে হবে।
২, অভিজ্ঞতা:
ধানের স্টক ব্যবসা করতে হলে আপনার একটু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। কখন কিভাবে ধান ক্রয় করতে হবে।
এবং কোন স্থান থেকে ধান ক্রয় করলে আপনি কম দামে ক্রয় করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে বেশি পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন এজন্য একটু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন হন তাহলে ধানের এই স্টক ব্যবসার পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিতে পারেন।
৩, মূলধন:
ধানের এই স্টক ব্যবসা করতে হলে আপনাকে মূলধনের প্রতি খুব বেশি লক্ষ্য করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে একটু বেশি পরিমাণের মূলধনের প্রয়োজন হবে।
আপনার যদি মূলধন কম থাকে তাহলে প্রয়োজনে আপনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারবেন।
৪, গোডাউন:
ধানের এই স্টক ব্যবসা করতে হলে একটি গোডাউনের খুব প্রয়োজন। আপনি ধানের সিজনে ধান ক্রয় করে স্টক করে রাখতে হলে একটি বড় ধরনের গোডাউন ভাড়া নিতে এবং গোডাউন টি খুব মজবুত করে তৈরি করতে হবে।
৫, সংরক্ষণ:
ধান ক্রয়ের পর স্টক করে রেখে দিলেই হবে না। বরং তার সংরক্ষণের জন্য আপনাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
যাতে বৃষ্টির পানি পড়ে ধান নষ্ট না হয়ে যায় এবং আরো আনুষঙ্গিক বিষয়ে খেয়াল করে খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
ধানের স্টক ব্যবসার বিভিন্ন ধরন নিয়ে আলোচনা :
এখন আমরা ধানের এই স্টক ব্যবসার বিভিন্ন ধরনের নিয়ে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিবো।
১, কৃষকদের থেকে ক্রয়:
ধানের এই স্টক ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সরাসরি কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনি খুব কম দামে তাদের থেকে ধান ক্রয় করতে পারবেন।
মধ্যস্থ কোন ঠিকাদারের প্রয়োজন হবে না। তুমি কৃষকদের থেকে দান ক্রয় করতে হলে আপনাকে একটি নিজস্ব পরিবহন রাখতে হবে।
২, আড়ত থেকে ক্রয়:
আবার অনেকে সরাসরি কৃষকদের কাছে না গিয়ে ধানের আড়ত থেকে দান ক্রয় করে থাকেন। ধানের আড়তে মূলত অনেক কৃষকদের ধান একত্রিত করা হয়।
ধান বাজারজাতকরণ :
ধান স্টকে রাখার পর বাজারজাত করবেন যেভাবে-
১, মিলের সাথে চুক্তি:
আপনি পূর্ব থেকেই বিভিন্ন চাউলের মিলের সাথে যোগাযোগ করে রাখতে পারেন। তাহলে আপনি তাদের থেকে আর্থিক সহায়ত পেতে পারেন।
অতঃপর যখন ধানের দাম বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি সরাসরি তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
২, অন্য ধান ব্যবসায়ীদের কাছে:
ধানের সিজন চলে যাওয়ার পর যখন দাম বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার স্টকে থাকা ধানগুলো অন্য ধান ব্যবসায়ীদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন।
তবে ধান বাজারজাত করার ক্ষেত্রে ধানের দামের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। যখন দেখবেন ধানের দাম উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তখনই বিক্রি করে দিবেন।
এজন্য আপনাকে ধানের বাজারের দাম সম্পর্কে সব সময় অবগত থাকতে হবে।
পরিশেষে বলবো :
উপরে ধানের স্টক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এই স্টক ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন