আপনি কি বাংলাদেশে কত ধরনের ব্যবসা আছে এ সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
ব্যবসায়িক খাত হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক উপযোগী হয়ে উঠেছে।এখানে অনেক ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক বড় শিল্প বাণিজ্য ও রয়েছে।
বাংলাদেশে এত বেশি পরিমাণে ব্যবসার ধরণ রয়েছে যে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি ব্যবসার ধরণ নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে ।
তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশে কত ধরনের ব্যবসা আছে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা সম্পর্কে আরো অনেকগুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেব । যাতে করে আপনি খুব সহজেই একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ জন্য শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে আপনাকে আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে কত ধরনের ব্যবসা আছে ?
অর্থাৎ এই মুহুর্তে এত বেশি পরিমাণে ব্যবসা রয়েছে যে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব ।
যাতে নিজেকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। সুতরাং ব্যবসায় লাভবান হওয়ার জন্য আর্টিকেলটি পড়তে হবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক ।
১, কৃষি:
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত ও মাছ।
যেহেতু দেশের ১০০ ভাগ মানুষের অন্যতম খাদ্য হলো ভাত যা উৎপাদন হয় ধান চাষ থেকে। আবার পাশাপাশি বাংলাদেশের তৈরি চাউল বিদেশে ও রপ্তানি করা হয় ।
এজন্য স্বাভাবিকভাবে কৃষি চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমান বাংলাদেশ কৃষি বা চাষের কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে। যেমন –
- ধান চাষ, গম চাষ, ভুট্টা চাষ, আলু চাষ, সরিষা চাষ , তিল চাষ , মসুরের ডাল , মূগ ডাল চাষ, ইত্যাদি বিষয়ে চাষ করতে পারেন।
- ফল চাষ: বিভিন্ন ফল চাষ করতে পারেন যেমন – আম , কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, কলা, পেয়ারা, আনারস, ইত্যাদি। এসব ফল সারা বছর জুড়ে চাহিদা থাকে। এজন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ এসব ব্যবসায় অনেক লাভবান হওয়া যায়।
- মাছ চাষ: বাংলাদেশের মানুষ কে মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলা হয়। সুতরাং মাছের চাহিদা ও দেশব্যাপী। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিদেশে রপ্তানি ও করা হয়।
- শাক সবজি চাষ: আমাদের শেষের মাটি উর্বর থাকায় সিজনাল বিশেষ করে শীতকালে অনেক ধরণের শাক সবজি চাষ করা হয়। এবং দেশব্যাপী এসব শাক সবজির অনেক চাহিদা ও রয়েছে।
২, খামার প্রকল্প :
বাংলাদেশের সামাজিক ভারসাম্য অনেকটা স্বাভাবিক। অর্থাৎ এখানে খামার প্রকল্পের জন্য সবুজ শ্যামল পরিবেশ খোলা মাঠ-ঘাট রয়েছে।
এজন্য খামার প্রকল্প করা অনেক উপযুক্ত। গরু, ছাগল, ভেড়া, ইত্যাদি খামার তৈরির ব্যবসা করতে পারেন। এসব পালনের পাশাপাশি গরু, ছাগলের দুধের ও ব্যবসা করা যায়।
আর বিশেষ করে বর্তমান মুরগি খামার অনেক জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।
মুরগি খামার থেকে যেমনভাবে একদিকে মুরগি বিক্রি করা যায় আবার পাশাপাশি মুরগির ডিমের ও ব্যবসা করা যায়।
৩, বস্ত্র:
বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বস্ত্রশিল্পের অবদান অপরিসীম। বর্তমান দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত হলো বস্ত্র তথা গার্মেন্টস শিল্প।
ভবিষ্যত বাড়তি চাহিদা থাকায় আপনিও ছোট পরিসরে একটি কারখানা দিয়ে শুরু করতে পারেন এই লাভজনক ব্যবসা।
৪, চামড়া:
চামড়া বা ট্যানারি ব্যবসা ও একটি লাভজনক ব্যবসা। ট্যানারি থেকে চামড়া প্রসেসিং করে আপনি নিজেও এই চামড়া কাজে লাগাতে পারেন। আবার বিক্রি ও করতে পারেন।
৫, ঔষধ:
সর্বদা চাহিদা থাকা অন্যতম ব্যবসা হলো ঔষধ ব্যবসা । ঔষধ ব্যবসা বা ফার্মেসী ব্যবসায় ঔষধ কম্পানির অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। ঝুঁকি কম কিন্তু লাভ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
৬, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি:
আধুনিক এ যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে সাথে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সুতরাং ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি একটি সময় উপযোগী ব্যবসা হতে পারে। এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করেও আপনি আয় করতে পারেন। যেমন – ব্লগিং, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি
৮, হস্তশিল্প:
বাংলাদেশে হস্তশিল্পের জনপ্রিয়তা অনেক আগে থেকেই আছে। হস্তশিল্পের মধ্যে অন্যতম হলো কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র।
যেমন – আলমারি, সোকেজ , খাট-পালঙ্গ , চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি। এবং মাটির তৈরি আসবাবপত্র ও অনেক জনপ্রিয়। যেমন- হাঁড়ি পাতিল ও বিভিন্ন সৌখিন জিনিসপত্র।
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া ২০২৪
- একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার পদক্ষেপগুলো কি কি হতে পারে ?
৯, কসমেটিকস:
লাভজনক ব্যবসাগুলো মধ্যে অন্যতম হলো কসমেটিকস ব্যবসা। আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ মেয়েরা সব সময় সাজুগুজু করতে পছন্দ করে। এজন্য কসমেটিকস জিনিসপত্রের চাহিদা অনেক বেশি হয়।
১০, সিজনাল ব্যবসা:
বাংলাদেশে বিভিন্ন মৌসুমে উৎপাদিত ফল নিয়ে যে ব্যবসা করা হয় তাকে সিজনাল ব্যবসা বলে। যেমন – আম, কাঁঠাল, লিচু ,তরমুজ, কলা ,পেয়ারা , আনারস ইত্যাদি ।
উপসংহার
উপরে বাংলাদেশে কত ধরনের ব্যবসা আছে এ সম্পর্কে আলোচনা করলাম ।
সুতরাং আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
আশাকরি আপনি অনেক উপকার পেয়েছেন । লেখা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।