আপনি কি অনলাইন বিজনেস টিপস সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা শুধু আপনার জন্য।
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের চিন্তা করে তারা অনলাইনে বিজনেস বা ইনকাম করবেন । তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে বিজনেস করে অর্থ উপার্জন করা এতটা সহজ নয়।
তাই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং লেগে থাকতে হবে। তাহলে সফলতা একদিন আসবেই। বিজনেস এর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার জন্য সেরা অনলাইন ব্যবসা কোনটি ?
এজন্য আপনাকে বিজনেস টিপস ফলো করতে হবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি ব্যবসাটি আপনার জন্য ?
তাই আজ আমি অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব পাশাপাশি নানান ধরনের টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি বিজনেস সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পান। অতএব আর্টিকেলটি গুরুত্বসহকারে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
অনলাইন বিজনেস বা অনলাইন ব্যবসা কি ?
এমন একটি বিজনেস যেটা অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় এবং অনলাইনের মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে লেনদেন ও যোগাযোগ করা হয়।
যেমন : টি-শার্ট কোম্পানি অনলাইনে টি-শার্ট বিক্রি করে । একজন লোক অনলাইনে টি-শার্ট দেখতে পেল। তারপর সে অর্ডার দিল।
ওই কোম্পানি ডেলিভারির মাধ্যমে ঐ লোকটির কাছে ওই টি-শার্টটি পৌঁছে দিল। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ছিল একটি বিজনেস। আর এটা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে।
মোট কথা : বিজনেস এর সমস্ত কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পাদন করা হয়।
এক নজরে ৮টি অনলাইন বিজনেস টিপস
এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে অনলাইন বিজনেস টিপস দেওয়া হলো :
- বিজনেস সম্পর্কে পরিপূর্ণ দক্ষতা ও ধারণা নেওয়া ।
- টার্গেট করে মার্কেট সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে ।
- পণ্য চিহ্নিত করতে হবে।
- প্রতিযোগিতা করা ।
- বাজেট নির্ধারণ করা
- বিজনেস প্লান বা মডেল তৈরী করা
- অনলাইন বিজনেস নিবন্ধন করতে হবে ।
- সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করা ।
বিস্তারিত আলোচনা অনলাইন বিজনেস টিপস সম্পর্কে :
অনেক টিপস রয়েছে । বাছাইকৃত কয়েকটি দেওয়া হলো । আশা করি আপনি নিচের টিপস গুলো ফলো করবেন। পাশাপাশি পরিশ্রম এবং মনোযোগ সহকারে করবেন তাহলে খুব তারাতারি সফল হতে পারবেন।
ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে । নিচে পদক্ষেপগুলো আলোচনা করা হলো :
১. বিজনেস সম্পর্কে পরিপূর্ণ দক্ষতা ও ধারণা নেওয়া ।
২. টার্গেট করে মার্কেট সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে ।
আপনি যাদের মনে করছেন সম্ভাব্য গ্রাহক তারা কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেয় একটি পণ্য ক্রয় করা কিংবা সেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে।
এবং গ্রাহকের কোন জিনিষের প্রতি চাহিদা আছে , কোন ধরনের চাহিদা বেশি , সম্ভাবনা ও সমস্যার জায়গাগুলো কী , প্রতিযোগী কারা ?
এসব বিষয়ে অবশ্যই গবেষণা করতে হবে ও পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে । এ বিজনেস টিপস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এ সমস্ত জিনিস গুলো জানা আপনার টার্গেট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করবে ।
৩. অনলাইন বিজনেস সিস্টেম হলো পণ্য চিহ্নিত করতে হবে।
কোন পণ্যগুলির সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে এবং কত খরচ হয় সেগুলো অনুসন্ধান করতে হবে। এবং আপনার পণ্য নতুন হিসেবে অনলাইনে অ্যাড দেওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।
পাশাপাশি পণ্য সরবরাহকারী, প্রতিযোগী এবং ব্যবসায় সহযোগীদের নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে। যাতে করে আপনি দ্রুত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন এবং এর মধ্যে সফল হন ।
৪. প্রতিযোগিতা করা ।
প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা আপনার অনলাইন ব্যবসার জন্য একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে । কেননা প্রতিযোগিতার কারণে নানান বিষয় খেয়াল করা হয়। যেমন :
- পণ্যের মান ঠিক রাখা।
- মাত্রা অতিরিক্ত বেশি মূল্যে বিক্রি না করা।
- গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
- আনকমন আনকমন পণ্য সংগ্রহে রাখা।
- সার্ভিস ভালো দেওয়া।
ইত্যাদি এ সমস্ত বিষয়ের প্রতি খেয়াল করা হবে। একমাত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে। মোটকথা যখন আপনি প্রতিযোগিতা করে ব্যবসা করবেন তখন অটোমেটিক ভাবে আপনার যে সমস্ত প্রতিযোগী রয়েছে তাদের থেকে ভাল সার্ভিস বা পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আর এটা আপনাকে লাভজনক করে তুলবে । সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম যে, এই প্রতিযোগিতা হলো বিজনেসের সাফল্যের চাবিকাঠি । তাই সবসময় চেষ্টা করবেন প্রতিযোগিতা করে ব্যবসা করা।
৫. অনলাইন বিজনেস আইডিয়া হলো বাজেট নির্ধারণ করা
বিজনেস এর জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাজেট নির্ধারণ করলে আস্তে আস্তে আপনার বিজনেসটা অনেক উন্নতি লাভ করবে।
অল্প সময়ে মূল লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। আর বাজেট নির্ধারণ না করলে মাঝপথে ব্যবসাকে বন্ধ করে দিতে হবে। অতএব বিজনেস মডেল তৈরি করার সময় অবশ্যই বাজেট নির্ধারণ করতে হবে।
এই বিজনেস টিপস ফলো করলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন।
৬. বিজনেস প্লান বা মডেল তৈরী করা
প্রতিটি ব্যাবসার মধ্যে মুনাফা অর্জন করা হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য । আমরা যে পরিকল্পনা করে থাকি ঐ লক্ষ্যে পৌছার জন্য সেটাই হলো : বিজনেস মডেল।
অর্থাৎ আপনার পছন্দনীয় অনলাইন বিজনেস এর ফাষ্ট থেকে লাষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও গবেষণাকে লিপিবদ্ধ করা ।
যেমন : মূলধন ,মালিকানা , পণ্য ও সেবা, বাজারজাতকরণ কৌশল ইত্যাদি । এরফলে আপনি আপনার বিজনেসের জন্য কি পদ্ধতি গ্রহণ করবেন সেটা আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে ।
এই সময়ে কমবেশি আপনার বিজনেসকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কি কি দক্ষতার প্রয়োজন সে সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে যাবে এবং কি কি লাগবে সেটাও স্পষ্ট হয়ে যাবে ।
অর্থাৎ আপনার কি কোন ওয়েব ডিজাইনার, প্রোগ্রামার , ফ্যাশন ডিজাইনার , বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি প্রয়োজন ?
আপনার বাজেট আপনার প্রয়োজনের কম কিনা ? এটাও স্পষ্ট হয়ে যাবে এই বিজনেস মডেল এর মাধ্যমে ।
৭ . অনলাইন বিজনেস নিবন্ধন করতে হবে ।
সরকারের নতুন নিয়মে এখন থেকে ডিবিআইডি বা ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিটি ছাড়া যদি কোন ব্যক্তি ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা করে তাহলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে অথবা ১ বছরের জেল হবে ।
তাই অবশ্যই আপনাকে আপনার অনলাইন বিজনেসের জন্য নিবন্ধন করতে হবে ।
৮. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করা ।
একটি বিজনেসের সফলতার জন্য যে জিনিসটা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সেটা হল মার্কেটিং। মার্কেটিং ছাড়া কোন বিজনেস এর মধ্যে সফলতা লাভ করা যায় না।
অনলাইন মার্কেটিং টিপস হলো : আপনার বিজনেসের সফলতার জন্য অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ( ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি ) মাধ্যমে মার্কেটিং করতে হবে।
কেননা বর্তমানে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর একটিভ থাকে। ফলে আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রচার-প্রসার করার জন্যে প্রচুর গ্রাহক পেয়ে যাবেন।
আর এই সুযোগটাই আপনাকে কাজে লাগাতে হবে আপনার বিজনেসের সফলতার জন্য।
অনলাইন বিজনেস নিয়ে কিছু কথা :
ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য বিষয়গুলো সহজ করে দেওয়া। পাশাপাশি সাইটের প্রথম ইন্টারফেজটি অনেক আকর্ষণীয় করে তোলা যাতে করে সে আকর্ষিত হয়।
আপনার অনলাইন ব্যবসা ঠিক কতটা কার্যকরভাবে গতিশীল তা বিবেচনাধীন নয়।যদি সাইটের ইন্টারফেসটি প্রথম দেখাতে ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করে ,
অনীহা তৈরী করে তাহলে প্রথম চান্সে গ্রাহক বিদায় নেবে। অনলাইন বিজনেসটা step-by-step সাজান। ধীরে ধীরে নিশ্চিত ভাবে কাজ করুন।
অবশ্যই আপনি বিজনেস এর মধ্যে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আপনাকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে এ কাজগুলো করবেন না বরং এড়িয়ে চলবেন।
১. অনলাইন বিজনেসে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করবেন না।
অর্থাৎ আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করে। তাদেরকে বলছি অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করবেন না।
কেননা অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করলে আপনার ব্যবসা শুরু করতে দেরি হয়ে যাবে। আর যত দেরি হবে ততো আপনার প্রতিযোগী বাড়তে থাকবে।
তাই অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা না করে ব্যবসা শুরু করে দেন।
২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেশি টাকা খরচ করবেন না।
অর্থাৎ ব্যবসার শুরুতেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করবেন না। বরং আপনার মূলধন অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করুন।
তারপর আপনি আপনার গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং এটা বোঝার চেষ্টা করুন তারা আপনার কোন প্রোডাক্টকে ভাল বলছে ।
এবং কোন প্রডাক্টকে অপছন্দ করছে। এ সমস্ত বিষয় ভালোভাবে লক্ষ করে ব্যবসা প্রচার প্রসার করুন।
মোট কথা ঃ আপনি যদি এই টিপস ফলো করেন তাহলে কেউ আপনাকে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে ঠেকাতে পারবে না ।
অনলাইন বিজনেস এর সুবিধা কি কি ?
এর অনেক সুবিধা রয়েছে।
- আপনি যেকোনো জায়গায় বসে ব্যবসা করতে পারবেন অনলাইনে।
- ইচ্ছে করলে মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন ।
- আবার কম্পিউটার এর মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন অর্থাৎ যে কোন ডিভাইস দিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।
- আপনি বাংলাদেশে বসে বিদেশের লোকদের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন।
- প্রচুর প্রচার-প্রসার করতে পারবেন যেটা অফলাইনে সম্ভব না। এর ফলে আপনার ব্যবসা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
- আপনি ইচ্ছা করলে যেকোনো এলাকা বা দেশভিত্তিক ও ব্যবসা করতে পারবেন অনলাইনে।
অনলাইন বিজনেস কেন করবেন ?
ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হল আপনি অল্প সময়ে অল্প পুঁজি খাটিয়ে অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
কেননা অনলাইনে প্রচার-প্রসার ও বিজ্ঞাপন প্রচুর দেওয়া যায়। কিন্তু অফলাইনে এত প্রচার-প্রসার করা যায় না।
যার ফলে অনলাইনের মত ব্যবসা বেশি হয় না বরং কম হয়।
অনলাইন বিজনেস প্লান কেন করবেন ?
একটি ব্যবসার জন্য বিজনেস প্ল্যান অনেক প্রয়োজন। কেননা বিজনেস প্লান এর ওপর ব্যবসার সফলতা এবং ও অসফলতা নির্ভর করে। আর এই প্লান এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- মূলধন কিভাবে আসবে
- বাজারজাতকরণ কিভাবে করতে হবে এবং এর কৌশল গুলো অবশ্যই এই প্ল্যান এর মধ্যে থাকতে হবে।
- পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্ল্যান করতে হবে।
- মালিকানার ব্যাপারেও প্ল্যান করতে হবে।
- আরো কয়েকটি বিষয় খেয়াল করতে হবে : ডিজাইনার, তারপর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন পড়তে পারে।
মোটকথা : একটি ব্যবসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ই প্ল্যান করতে হবে। তাহলে আপনি অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন। অন্যথায় বিজনেসে লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কয়েকটি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া দেওয়া হলো :
১. অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার টিপস
বর্তমান সময়ে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি চাহিদা হল কাপড়। চাই সেটা ছেলেদের হোক কিংবা মেয়েদের কাপড় হোক ?
এই ব্যবসা করার জন্য আপনি একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে পারেন।
তারপর এর থেকে আপনি বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করে কাপড় বিক্রি করতে পারেন।
অথবা আপনার নিজের জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায় অনেক চাহিদা এবং মুনাফা রয়েছে। যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি সফল হবেনই ।
২. কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি
বর্তমান সময়ে কাপড়ের মত মেয়েদের কসমেটিক্স এর চাহিদাও রয়েছে।
অতএব আপনি ভালো ভালো কসমেটিক্স প্রোডাক্ট গুলো সংগ্রহ করে ফেসবুক বিজনেস পেজ এর মাধ্যমে বিজনেস করতে পারেন।
অথবা নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটার মাধ্যমে বিজনেস করতে পারেন।
৩. খাটি মধুর ব্যবসা
মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই বর্তমানে মানুষ খাঁটি মধু খোঁজে। কিন্তু তারা পায়না অধিকাংশই ধোকা খায়।
অতএব আপনি খাঁটি মধুর ব্যবসা করতে পারেন। তবে শর্ত হলো ক্রেতাদের বিশ্বাস করাতে হবে আপনি নিশ্চয়ই খাঁটি মধু বিক্রি করেন।
যদি একবার আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। তাহলে প্রচুর মধু বিক্রি করতে পারবেন। কেননা খাটি মধুর প্রতি মানুষের অনেক চাহিদা রয়েছে।
আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করেও বিক্রি করতে পারেন।
৪. wholesaler থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করা
বর্তমানে আমাদের আশপাশে প্রচুর wholesale দোকান পাওয়া যায় সেখান থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনে অনলাইনে বিজনেস করতে পারেন। এই ধরনের বিজনেস বর্তমানে প্রচুর চলছে।
মোট কথা : আশা করি আমি আপনাদেরকে অনলাইন বিজনেস টিপস বা online business ideas সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দিতে পেরেছি।
যদি এগুলো ফলো করেন আশা করি আপনি এর মধ্যে সফল হবেন। আমার লেখা ভালো লাগলে জানাবেন এবং শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ ।
আরো পড়ুন : সুন্দর সুন্দর বিজনেস পেজের নামের তালিকা ২০২৪
অনলাইন বিজনেস কিভাবে করব ?
অনলাইন বিজনেস করার জন্য শুরুতেই আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে ।
১. কোন জিনিস নিয়ে ব্যবসা করবেন তা প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে।
২. নির্ধারণ করার পর ওই বিজনেস সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিতে হবে।
৩. তারপর আপনার বিজনেসের জন্য পুরাপুরি পরিকল্পনা করতে হবে।
বিজনেস প্লান কি ?
একটি ব্যবসার জন্য বিজনেস প্ল্যান অনেক প্রয়োজন। কেননা বিজনেস প্লান এর ওপর ব্যবসার সফলতা এবং ও অসফলতা নির্ভর করে। আর এই প্লান এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
১. মূলধন কিভাবে আসবে
২. বাজারজাতকরণ কিভাবে করতে হবে এবং এর কৌশল গুলো অবশ্যই এই প্ল্যান এর মধ্যে থাকতে হবে।
৩. পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্ল্যান করতে হবে।
৪. মালিকানার ব্যাপারেও প্ল্যান করতে হবে।
আরো জানতে সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পরুন ।
কিভাবে অনলাইন বিজনেস শুরু করব ?
প্রথম আপনাকে বিভিন্ন বিজনেস সম্পর্কে আইডিয়া দিতে হবে । এরপর যে ব্যবসা আপনার ভালো লাগে ঐ ব্যবসার মার্কেটিং গবেষণা করতে হবে । এরপর বিজনেস প্ল্যান করতে হবে । এরপর সরাসরি বিজনেসে নামতে হবে ।