আপনি কি আলুর স্টক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান একটি দেশ। আমাদের দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে অন্যতম হলো আলু।
যা আমাদের দেশের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন কোন আইটেমের সাথে আলু থাকে।
এজন্য এমন দেশে আলোর ব্যবসা করা ওই সম্ভাবনাময়ী এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। তাই আমি আলুর স্টক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
আলুর স্টক ব্যবসা আইডিয়া ২০২৪
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আলুকে স্টক করে কিভাবে ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আইডিয়া নিয়ে আলোচনা।
স্টক ব্যবসা করার স্পেশাল কয়েকটি উপকারিতা :
প্রথমত আলুর স্টক ব্যবসা করার স্পেশাল কিছু উপকারিতা রয়েছে । যেমন :
১, সর্বব্যাপি চাহিদা:
আলু এমন একটি খাদ্যশস্য যার চাহিদা সারা বছর জুড়ে থাকে। যেকোনো মৌসুমে বাজারে আলুর একটি অনেক বড় প্রভাব থাকে।
সাধারণ মানুষ সব সময় পছন্দ করে থাকে। সুতরাং ব্যাপক চাহিদা পূর্ণ খাদ্যশস্যের মধ্যে আলোর বিকল্প নেই।
২, দ্রুত আয়:
যেহেতু আলুর চাহিদা সারা বছর থাকে সুতরাং আলুর এই স্টক ব্যবসা করে খুব দ্রুত আয় করা সম্ভব হয়।
৩, ক্ষতির সম্ভাবনা কম:
বহুল চাহিদা পূর্ণ আলোর স্টক ব্যবসা করলে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কেননা আলু যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে বাজারজাত করা সহজ হয়। কারণ সব সময় বাজারে আলুর চাহিদা থাকে।
৪, সংগ্রহ করা সহজ:
আলুর এই স্টক ব্যবসা করতে আপনার খুব কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। কারণ খুব সহজেই স্টক করার জন্য আলু সংগ্রহ করা যায়।
আমাদের দেশে তাই সব জেলায় আলু উৎপাদন করা হয়। সুতরাং আপনি খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন।
স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে করনীয় বিষয় :
দ্বিতীয়ত আমরা এখন বলব স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো জানা খুব জরুরী, আমরা এখন সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১, বাজার গবেষণা:
আলুর এই স্টক ব্যবসা করার পূর্বে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাজার গবেষণা করা। কারণ বাজার গবেষণা করা আপনার ব্যবসার পথকে খুব সহজ ও সুগম করে দিবে।
বাজার গবেষণা করলে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে। আলুর স্টক ব্যবসা করতে বাজার গবেষণা এভাবে করতে হবে যে-
প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আলু উৎপাদন করা হয়।
এবং আলুর জগতে সবচেয়ে নামকরা কোন জেলার আলু। লোক সমাজে প্রসিদ্ধ আলু কোন জেলায় উৎপাদিত হয় আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং আপনাকে সেখান থেকে আলু ক্রয় করে স্টক করে রাখতে হবে।
২, মূলধন:
আলুর এই স্টক ব্যবসা করতে হলে আপনাকে একটা বড় অংকের মূলধনের প্রয়োজন হবে। কেননা ব্যবসার লাভ নির্ভর করে আপনার মূলধনের উপর।
এজন্য আপনাকে মূলধনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন ওঠাতে পারবেন। এতে আপনার ব্যবসা সহজ হয়ে যাবে।
৩, গোডাউন:
আলু ক্রয় এর পরে স্টক করার জন্য আপনার একটি গোডাউন প্রয়োজন হবে। এবং গোডাউন টি আকারে একটু বড় হতে হবে এবং সুরক্ষিত এলাকায় হতে হবে।
আলুর স্টক ব্যবসার বিভিন্ন ধরন নিয়ে আলোচনা :
এখন আমরা আলুর এই স্টক ব্যবসার বিভিন্ন ধরন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১, চাষ করা:
যদি আপনার গ্রাম অঞ্চলে কোন জমিন থাকে তাহলে আপনি সেখানে আলুর চাষ করতে পারেন।
এবং তারপর নিজের আলু নিজেই স্টক করে রাখতে পারেন। এভাবে করতে পারলে আলুর এই স্টক ব্যবসায় আপনি খুব বেশি লাভবান হতে পারবেন।
২, পাইকারি:
আপনি সরাসরি আলু চাষীদের সাথে যোগাযোগ করে আলু ক্রয় করে স্টক করবেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন আলু পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
৩, খুচরা:
আপনার স্টকে থাকা আলুগুলো আপনি স্থানীয় বাজারে আলোর খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
৪, অনলাইন:
বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন কেন্দ্রিক গড়ে উঠছে। সুতরাং আপনিও অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আলু বিক্রি করতে পারেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে আলুর স্টক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এই স্টক ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন