আপনি কি জানতে চান ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন সম্পর্কে ? ই-কমার্স ব্যবসা সবাই করতে চায় কিন্তু অধিকাংশ লোকই সফলতা লাভ করতে পারে না।
কেননা তারা ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে দেয় বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দেখে কিন্তু যে সমস্ত গাইডলাইন জানা জরুরী ব্যবসাটি শুরু করার জন্য ঐ সমস্ত গাইড লাইন সম্পর্কে মোটেও জানে না।
ফলে তারা সফলতার বদলে ব্যর্থ হয়ে ব্যবসার চিন্তা ধারণা শেষ করে ফেলে বা ব্যবসার আগ্রহ একেবারে শেষ হয়ে যায়। তাই অবশ্যই আপনাকে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য যে সমস্ত গাইডলাইন রয়েছে সর্বপ্রথম ঐ সমস্ত গাইড লাইন আগে জানুন তারপর ব্যবসা শুরু করুন।
যাতে করে আপনি সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পাশাপাশি যে সমস্ত প্রবলেম আসবে ঐ সমস্ত প্রবলেম গুলো সল্ভ করতে পারেন।
অতএব আজ আমি ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। অবশ্যই আপনি গাইডলাইন গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আশা করি আপনি ই-কমার্স ব্যবসায় সফলতা লাভ করবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন ২০২৫
এখানে আমি কয়েকটি গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। প্রত্যেকটি বিষয় নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করার মন-মানসিকতা নিয়ে পড়বেন। আশা করি আপনি সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন। ই-কমার্স ব্যবসায় কখনো ব্যর্থ হবেন না।
মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে
এ ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। যতই ঝড় তুফান আসুক না কেন , যতই বাধা আসুক না কেন , যতই বিপর্যয় আসুক না কেন আপনাকে টিকে থাকার লড়াই করে যেতে হবে।
এরকমভাবে শুরুতেই আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো-খারাপ দিক থাকে। অতএব ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার পর বিভিন্ন ধরনের বাধা বিপত্তি আসবে ঐ সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে দূর করার মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
এবং নিজেকে শক্ত করতে হবে এবং বলতে হবে যে আমি অবশ্যই পারবো। আর সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে দূরে সরিয়ে দিয়ে আমি আমার গন্তব্যে পোছবো।
মার্কেট যাচাই-বাছাই করে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা
সর্বপ্রথম আপনাকে মার্কেট নিয়ে গবেষণা করতে হবে। অর্থাৎ কোন কোন পণ্য গ্রাহকরা বেশি পছন্দ করে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা বেশি। ভবিষ্যতে এর চাহিদা কমবে না বরং বাড়তে থাকবে । এরকম পণ্য আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
পাশাপাশি খেয়াল করতে হবে এরকম পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে লাভ কম হবে না বেশি হবে। লাভের দিকে খেয়াল করতে হবে। মোটকথা এমন সব পণ্য নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হবে যে সমস্ত পণ্যের প্রতি মানুষ ক্রয় করতে আগ্রহী।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন হলো কোম্পানির নামকরণ করা
যখন আপনি প্রোডাক্ট নির্বাচন করবেন। এরপর ঐ সমস্ত প্রোডাক্ট বা পণ্য অনুযায়ী আপনার কোম্পানির নাম দিবেন। যাতে করে আপনার কোম্পানির নাম শুনেই গ্রাহকরা বুঝতে পারে এখানে কি কি পণ্য বিক্রি করা হয়।
নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহজ এবং ইউনিক নাম রাখবেন। যাতে করে গ্রাহকরা খুব সহজেই আপনার কোম্পানির নাম মনে রাখতে পারে। কেননা যখন তারা আপনার কোম্পানির নাম মনে রাখবে তখন দ্বিতীয়বার আবার আপনার কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করবে।
এর দ্বারা আপনার বিক্রয় বেড়ে যাবে। নাম রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি নাম রাখার ব্যাপারে পরিপূর্ণ ধারণা পাবেন।
আরো পড়ুন : বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া
পরিপূর্ণভাবে মার্কেটিং করা
একটি ব্যবসার জন্য মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটিং করার ফলে ব্যবসার মধ্যে প্রচুর প্রচার প্রসার ঘটে। ফলে গ্রাহকদের কাছে একটি পরিচিতি লাভ পায়। অতএব ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। এটা ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন ।
মার্কেটিং দুই ভাবে করা যায়।
- অনলাইনে করা যায় ।
- অফলাইননেও করা যায় ।
অফলাইনে মার্কেটিং করার নিয়ম
আপনার কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন চমৎকার চমৎকার কথা লিখে পোস্টারিং করে পুরো এলাকায় লাগিয়ে দিতে পারেন এবং মাইকিং করতে পারেন।
অনলাইনে মার্কেটিং করার নিয়ম
অনলাইনে আপনি দুই ভাবে মার্কেটিং করতে পারেন।
- ফ্রিতে মার্কেটিং করতে পারেন
- টাকা খরচ করে মার্কেটিং করতে পারেন।
ফ্রিতে মার্কেটিং করার নিয়ম
আপনার কোম্পানির সম্পর্কে নানা রকম তথ্য এবং চমৎকার চমৎকার কথা লিখে ইউটিউব ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করে প্রচার করতে পারেন। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন।
টাকা খরচ করে মার্কেটিং করার নিয়ম
ফেসবুককে টাকা দিলে ফেসবুক আপনার কোম্পানিকে সমস্ত জায়গায় পৌঁছে দিবে। অর্থাৎ আপনার গ্রাহকদের কাছে আপনার কোম্পানিকে পৌঁছে দিবে মুহুর্তের মাঝে। সবচেয়ে সফলতা হওয়া যায় টাকা খরচ করে মার্কেটিং করলে।
পুঁজি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা
সর্বপ্রথম আপনাকে পুঁজি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কেননা একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে পুঁজি অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
পুঁজি ছাড়া আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। এরপর যখন আপনার পুঁজি ব্যবস্থা হয়ে যাবে তারপর অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া শুরু করবেন।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন হলো ব্যবসা নিয়ে পরিকল্পনা করা
ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে পরিপূর্ণভাবে আপনার ব্যবসা নিয়ে একটি পরিকল্পনা করতে হবে। যাকে বলা হয় বিজনেস প্ল্যান। এই প্লেনের মধ্যে অনেক বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
যেমন : একটি খাতার ভিতরে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যবসার প্ল্যান তৈরি করবেন। এরদ্বারা নানান ধরনের কমতি গুলো আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
আরেকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনার প্রোডাক্ট গুলো কোথায় থেকে ক্রয় করবেন।
ডেলিভারি ব্যবস্থা ভালো করা
বর্তমানে অনেক লোক ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করছে। কিন্তু সফলতা অর্জন করছে না। কারণ তাদের ডেলিভারি ব্যবস্থা ভালো না।
তাই অবশ্যই ডেলিভারি ব্যবস্থার দিকে আপনাকে খেয়াল দিতে হবে। কোন ধরনের কমতি যেন না থাকে। তাহলে খুব সহজে সফলতা লাভ করতে পারবেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
আশাকরি আপনি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।