২০২৪ সালে ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া

আপনি কি ডিলারশিপ ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? এই ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বেশি থাকে আর ঝুঁকি অনেক কম থাকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো : এই ব্যবসার মধ্যে আপনার কোন প্রচার প্রসার করা লাগবে না বরং কোম্পানি তার পণ্যের প্রচার প্রসার করবে।

অতএব আপনি এই ব্যবসা করে প্রচুর পরিমাণ লাভবান হতে পারবেন । তবে হয়তো মনে প্রশ্ন জাগছে কিভাবে এই ডিলার ব্যবসা করব ? কিভাবে লাভ করব ? কিভাবে এই ব্যবসায় সফলতা লাভ করব ? আরো নানান বিষয় ।

তাই আজ আমি ডিলারশিপ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য দিব। যাতে করে খুব সহজেই এই ব্যবসা করে আপনি সফলতার উচ্চশিখরে পৌঁছাতে পারেন এবং প্রচুর পরিমাণে লাভ অর্জন করতে পারেন।

ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া

ডিলারশিপ ব্যবসা কি ?

এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোন কোম্পানির হয়ে কোনো নির্দিষ্ট একটি এলাকা বা সীমানার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা। পাশাপাশি ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা।

অর্থাৎ যিনি ডিলারশিপ নিচ্ছেন তিনি ওই নির্দিষ্ট এলাকায় উক্ত কোম্পানীর পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে নানান কাজের দায়িত্ব পালন করবেন। অতএব আপনি বুঝতে পারছেন এই এই ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। সাথে ঝুঁকি অনেক কম।

ডিলারশিপ ব্যবসা কিভাবে শুরু করব ?

ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনার কয়েকটি বিষয় লাগবে।

  • একটি ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
  • নিজস্ব একটি এজেন্সি বা ফার্ম লাগবে।
  • আপনার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট লাগবে।
  • রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

আপনার একটি প্রোফাইল পূর্ণ করতে হবে।

  • যেখানে আপনি লিখে দিবেন আপনার অফিসের কর্মচারী কতজন। আপনার গোডাউন কত বড়।
  • আপনার অফিসটা কোথায় রয়েছে।
  • আপনি কোন এলাকা বা এরিয়ার জন্য ডিলারশিপ নিতে চাচ্ছে। ঐ প্রোফাইলে প্রত্যেকটা জিনিস লিখতে হবে।
  • তারপর আপনি ওই কোম্পানির কাছে এসব বিষয় পাঠাবেন।

যখন আপনার ডিলারশিপটা ফাইনাল হয়ে যাবে। তখন উক্ত কোম্পানির সাথে চুক্তি করার সময় আপনাকে আরো কয়েকটি বিষয় ফলো করতে হবে।

  • আপনাকে কি পরিমান কমিশন দেবে তা উল্লেখ করতে হবে।
  • কি পরিমাণ পণ্য নিতে চাচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে।
  • যদি কোন পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে এক্ষেত্রে কি নিয়ম হতে পারে অবশ্যই তা চুক্তিতে থাকতে হবে।
  • যদি আপনি আপনার ডিলারশিপ বাদ দিতে চান তাহলে কি নিয়ম হতে পারে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
  • কোম্পানি আপনাকে কোন পদ্ধতিতে পণ্য পাঠাবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

ডিলারশিপ ব্যবসা সম্পর্কে সর্তকতা

এই ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে কোনভাবে আপনি প্রতারিত না হন।

  1. ডিলারশিপ কোম্পানির সাথে চুক্তি করার আগে অবশ্যই আপনাকে ওই কোম্পানি সম্পর্কে ভালভাবে যাচাই করতে হবে।
  2. এমন পণ্য নিয়ে ডিলার ব্যবসা করুন যে পণ্যের চাহিদা রয়েছে। অন্যথায় সফল না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  3. চুক্তি যুক্ত কপিটি অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন। যাতে করে ভবিষ্যতে কোন প্রবলেমে না পড়তে হয়।
  4. কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখে ওই কোম্পানির সাথে ডিলার ব্যবসা করবেন না। কেননা এতে ধোকা খাওয়ার বেশি। পারলে অন্যান্য ডিলার ব্যবসায়ীদের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।

ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া

কয়েকটি ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া দেয়া হলো।

1. রড সিমেন্টের ডিলারশিপ ব্যবসা

বিল্ডিং থেকে শুরু করে ঘর , বাড়ি , রাস্তা ইত্যাদি প্রত্যেকটা জিনিস নির্মাণ করার ক্ষেত্রে রড সিমেন্ট ইত্যাদি জিনিসগুলো প্রয়োজন পড়ে। এসব নির্মাণের কাজ কখনোই বন্ধ হবে না। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম এসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি রড – সিমেন্টের কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে ডিলারশিপ চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন।

এই ব্যবসায় খুব অল্প সময়ে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনি রড – সিমেন্টের কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

2. কৃষি পণ্য ও যন্ত্রপাতির ডিলার ব্যবসা

গ্রামের মানুষরা কৃষি কাজ করে থাকে। এজন্য তাদের কৃষিপণ্যের অনেক প্রয়োজন। পাশাপাশি কৃষি কাজ করতে যেসব যন্ত্রপাতি লাগে সেগুলো প্রয়োজন। অতএব আমারা বুঝতে পারলাম কৃষি পণ্য ও যন্ত্রপাতির অনেক চাহিদা রয়েছে। অতএব আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

3. চা পাতার ডিলার ব্যবসা

আমাদের দেশে সবাই চা খেতে পছন্দ করে। চায়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। যেহেতু চায়ের চাহিদা রয়েছে অতএব বুঝতে পারলাম চা পাতার অনেক চাহিদা রয়েছে। কেননা চা তৈরি হয় চা পাতা দিয়ে। অতএব আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কোম্পানির সাথে কথা বলে চা পাতার ডিলারশিপ ব্যবসা নিতে পারেন। এ ব্যবসার ক্ষেত্রে মজার একটি বিষয় হল এই ব্যবসা শুরু করতে পুঁজি বেশি লাগেনা।

তাই আপনি আজই এ ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

ডিলারশিপ ব্যবসায় ক্ষেত্রে পুঁজি কেমন লাগে ?

ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই সিকিউরিটির জন্য কিছু টাকা কোম্পানির কাছে ডিপোজিট রাখতে হয়। আপনার চুক্তি শেষ হয়ে গেলে ওই কোম্পানির সাথে তারা আবার ওই টাকাটা ফেরত দিবে। কিছু কিছু কোম্পানি টাকা অনেক বেশি নিয়ে থাকে ডিপোজিট হিসেবে। আবার কোন কোন কোম্পানি কম নিয়ে থাকে। কোম্পানি যত হাই কোয়ালিটি হবে ডিপোজিট এর পরিমাণ বেশি হবে।

তবে কোন কোন কোম্পানি এই পদ্ধতিতে ডিপোজিট না নিয়ে শুধু আপনার অর্ডারকৃত পণ্যের অর্ধেক মন লাগে নিয়ে নেয়। এরপর বাকি টাকা পণ্য বিক্রি করার পর নেয়।

পরিশেষে বলব : উপরে ডিলারশিপ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য দেওয়া হল। যদি এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন :- ২০২৪ সালে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ১৭টি উপায়

I always like to learn and spread new things. So my main aim is to bring up new topics related to all types of business ideas.

Leave a Comment