২০২৪ সালে সেরা ১৬টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া গ্রহণ করুন ।

আপনি কি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

পাইকারি ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। বর্তমানে এই ব্যবসায় চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।

যদি আপনি সঠিক গাইড মেনে এবং সঠিক পদ্ধতিতে করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শহর হোক বা গ্রাম হোক প্রত্যেকটি স্থানে পাইকারি ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এই ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করা সম্ভব এবং প্রচুর পরিমাণ লাভবান হওয়া সম্ভব।

অতএব আপনি যদি পাইকারি ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে বলা হবে কিভাবে আপনি পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।

পাশাপাশি সবচেয়ে লাভজনক কয়েকটি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরব। আশা করি এগুলো ফলো করলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

Table of Contents :-

লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪

আমি এখানে নামকরা ও প্রসিদ্ধ ১৬টি ব্যবসার আইডিয়া দিব। আপনি যদি এগুলো ফলো করেন এবং পাশাপাশি পরিশ্রম করেন ও  প্রচুর সময় দেন তাহলে খুব সহজেই সফল হতে পারবেন ।

পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে ?

উৎপাদনকারীর কাছ থেকে পাইকারি হিসেবে কোন পণ্য ক্রয় করে তা আবার খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি।

অর্থাৎ আপনি কাপড় তৈরি কারী গার্মেন্টস কোম্পানি থেকে পাইকারি আকারে অনেকগুলো কাপড় ক্রয় করলেন। এরপর কিছু টাকা লাভে খুচরা কাপড় বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিলেন।

পাইকারি ব্যবসা কেন করবেন ?

পাইকারি ব্যবসায় খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে অনেক লাভবান হওয়া যায় । কেননা খুচরা ব্যবসায় লাভবান হতে অনেক সময় লাগে এবং অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক সময় লাভবান হওয়া যায় না লস খেতে হয়।

আরো নানান সমস্যা রয়েছে খুচরা ব্যবসায়। তাই সবচেয়ে সহজ এবং উত্তম হলো পাইকারি ব্যবসা করা এবং আরো অনেক সুবিধা রয়েছে এই পাইকারি ব্যবসায়।

পাইকারি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে যে কাজগুলো আপনার করা প্রয়োজন ?

অর্থাৎ পাইকারি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এবং শুরু করার জন্য কি কি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে এখানে এই নিয়ে আলোচনা করা হবে। আশা করি এ বিষয়গুলো খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

  • কোন পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।
  • ঐ সমস্ত পন্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন যে পণ্য সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ জ্ঞান রয়েছে।
  • সব সময় কম দামে কিনা চেষ্টা করবেন। অন্যথায় লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
  • পন্য যে জায়গায় রাখবেন তা অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে। ভালো এবং শুষ্ক স্থানে রাখার চেষ্টা করবেন।
  • পাইকারি পণ্য আনা নেওয়ার জন্য আপনার কি রকম খরচ হতে পারে তা অবশ্যই আগে থেকে হিসাব করে নিবেন।
  • সরকারিভাবে বিভিন্ন রকমের লাইসেন্স প্রয়োজন হতে পারে সেগুলোও ব্যবস্থা করতে হবে।
  • এমন পন্য বাছাই করার চেষ্টা করবেন যেগুলো পচন ধরে না বা নষ্ট হয় না। তাহলে লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এক নজরে ১৬টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে পাইকারি ব্যবসাগুলোর আইডিয়া দেওয়া হলো :

  • ধানের ব্যবসা
  • চালের পাইকারি ব্যবসা
  • সরিষার ব্যবসা
  •  ভুট্টার পাইকারি ব্যবসা
  • কাঁচামালের ব্যবসা করা
  • পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
  • মাছের পাইকারি ব্যবসা
  • চা পাতার ডিলারশিপ
  • রড সিমেন্টের পাইকারি ব্যবসা
  • জুতার ডিলারশিপ
  • মুদি পাইকারি ব্যবসা
  • শার্ট- প্যান্টের ব্যবসা
  • বাচ্চাদের খেলনার ব্যবসা
  • ইলেকট্রিক পণ্যের  ব্যবসা
  • কসমেটিকস পণ্যের ব্যবসা
  • স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা

বিস্তারিতভাবে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

এতক্ষণ সংক্ষিপ্ত আলোচনা করলাম । এখন প্রত্যেকটি ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই ব্যবসাগুলো করে আপনি খুব সহজেই সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারবেন।

তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

১. ধানের ব্যবসা

আমাদের দেশে ধানের অনেক চাহিদা রয়েছে। ধানের চাহিদা কখনো কমবে না। বরং ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকবে। কেননা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এই হিসেবে ধানের চাহিদা দিন দিন বাড়বে। কারণ এই ধান থেকে চাল তৈরি হয়।

আপনি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ধান ক্রয় করে তা বিক্রি করতে পারেন। এজন্য আপনি গ্রামের বিভিন্ন হাট থেকে ধান ক্রয় করে তা বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসায় প্রচুর লাভ রয়েছে। আজকাল গ্রামের অনেক লোকেরাই এই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন : অনলাইন ব্যবসার নাম বের করার কৌশল ও ইউনিক নামের তালিকা ২০২৪

২. চালের পাইকারি ব্যবসা

আমাদের দেশে চাউলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কারণ আমরা ভাত ছাড়া অন্য কিছু খেতে পারিনা। অতএব আপনি চালের ব্যবসা করতে পারেন। এর জন্য আপনি বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে পারেন।

তারপর তা ভাঙ্গিয়ে চালে রূপান্তর করে পাইকারি হিসেবে বিভিন্ন দোকানদারদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। অথবা ইচ্ছে করলে খুচরা বিক্রি করতে পারেন। এ ব্যবসায় প্রচুর লাভবান হতে পারবেন।

৩. পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হল সরিষার ব্যবসা

আমাদের দেশে ধানের মত সরিষার চাহিদা অনেক বেশি। এই সরিষা খাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লাগে। তাই এটার চাহিদা অনেক বেশি। আপনি সরিষা বিভিন্ন কৃষক বা হাট বাজার থেকে ক্রয় করতে পারেন।

তারপর বড় বড় কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারেন পাইকারি হিসেবে অথবা ইচ্ছে করলে আপনি সরিষা ভাঙ্গিয়ে তেল বিক্রি করতে পারেন খুচরা হিসাবে আবার পাইকারি হিসেবেও। এই ব্যবসায় ও অনেক লাভ রয়েছে।

৪. ভুট্টার পাইকারি বাজার

ভুট্টার ব্যবসা ও অনেক লাভজনক। ইচ্ছে করলে আপনি হাট থেকে ভুট্টা কিনে তা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে পাইকারি হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। আমাদের দেশে ভুট্টার অনেক চাহিদা রয়েছে।

কেননা এই ভুট্টার মাধ্যমে নানান জিনিস তৈরি করা হয়। তাই এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি এই পাইকারি ব্যবসাটি করতে পারেন।

৫. পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হলো কাঁচামালের ব্যবসা করা

কাঁচামালের ব্যবসা অনেক লাভজনক। কাঁচামালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের কাঁচামাল গুলো শহরে যায়। এই কারণে আপনি কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। এ কাঁচামাল গুলো বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে শহরের নামিদামি কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারেন পাইকারি হিসেবে।

সব সময় তাজামাল দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা শহরের লোক গুলো তাজা পছন্দ করে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কিনতে।

তাহলে দেখবেন আপনার ব্যবসা দ্বিগুণ গুনে বাড়তে থাকবে। আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনার চাহিদা মানুষের লেগে থাকবে। এর ফলে আপনি অল্প সময়ে সফলতা লাভ করবেন।

৬. পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসা অনেক জাঁকজমক। আপনি বিভিন্ন তাঁতি অথবা যে সমস্ত কোম্পানির পোশাক তৈরি করে তাদের কাছ থেকে পোশাক ক্রয় করতে পারেন

অথবা নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ,নবাবগঞ্জ ,চীন, ভারত, পাকিস্তান ইত্যাদি স্থান থেকে কাপড় ক্রয় করতে পারেন। তারপর বড় বড় দোকানদারদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। অথবা বর্তমানে অনলাইনে কাপড় ব্যবসা প্রচুর হয়।

ইচ্ছে করলে আপনি তাদের সাথে কন্টাক্ট করে তাদের কাছে ঐ সমস্ত কাপড় বিক্রি করতে পারবেন। কাপড়ের জন্য পুঁজি একটু বেশি লাগে 8 থেকে 10 লক্ষ টাকার মতো। যে সমস্ত স্থানে পাইকারি কাপড় বিক্রি হয় আপনি ঐ সমস্ত স্থানে পাইকারি দোকান দিবেন।

যেমন আমি একটা উদাহরন দিচ্ছি :

ঢাকা ইসলামপুর পাইকারি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। ইসলামপুর ব্যবসা করতে পারলে আপনার জন্য অনেক লাভজনক হবে। কারণ এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসে। এটা ঢাকার জন্য। আপনি আপনার এলাকায় যে সমস্ত স্থানে পাইকারি বিক্রি হয় সে সমস্ত স্থানে পাইকারি দোকান দিয়ে অনেক লাভ করতে পারেন।

৭. মাছের পাইকারি ব্যবসা

মাছের ব্যবসা অনেক লাভজনক। এ ব্যবসায় অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি পাইকারি মাছের আরৎ থেকে মাছ ক্রয় করে ছোট ছোট বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

এ ব্যবসায় প্রচুর লাভ রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের সমাজে অনেক লোকই ইলিশের ব্যবসা করে যা বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট থেকে এনে খুচরা মার্কেটে তারা বিক্রি করে। মোটকথা এই ব্যবসায় অনেক লাভ রয়েছে যদি আপনি ধৈর্যের সাথে করতে পারেন।

৮. অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা হলো চা পাতার ডিলারশিপ

বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি অফিসে অফিসে ঘরে ঘরে বিভিন্ন আড্ডাখানায় সকলে চা পান করে। চা খাওয়া কেমন যেন একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। চা খাওয়ার প্রতি মানুষের অনেক চাহিদা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতএব চা পাতার ব্যবসার চাহিদাও বর্তমানে অনেক।

অতএব আপনি বিভিন্ন বড় বড় মার্কেট থেকে পাইকারি হিসেবে চা পাতা ক্ষয় করে ছোট ছোট খুচরা দোকানে বিক্রি করতে পারেন। এ ব্যবসায় ও অনেক লাভ রয়েছে।

৯. ডিলারশিপ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হলো রড সিমেন্টের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমানে প্রচুর ডেভলপমেন্ট হচ্ছে। নতুন নতুন বিল্ডিং , ঘর বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তাই রড-সিমেন্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

আপনি রড সিমেন্টের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। অর্থাৎ রড সিমেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে এনে বিভিন্ন দোকান দোকান বা গ্রামে গ্রামে সাপ্লাই দিয়ে দিতে পারেন পাইকেরি হিসেবে। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। পরিশ্রম এবং ঠিকমত সময় দিলে খুব সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন।

১০. জুতার ডিলারশিপ

জুতা একটি চাহিদাযুক্ত পণ্য। বর্তমানে জুতার ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। হাজার হাজার মানুষ জুতার ব্যবসা দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছে।

বর্তমানে এই ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। আপনি যদি এই ব্যবসা পাইকারি হিসেবে করতে চান তাহলে হয়তো আপনি জুতা নিজেই তৈরি করবেন তারপর সাপ্লাই দিবেন।

অথবা কোম্পানির কাছ থেকে ক্রয় করে তা বিভিন্ন লোকদের কাছে বা গ্রামে গ্রামে পাইকারি হিসেবে সাপ্লাই দেবেন।

১১. মুদি পাইকারি বাজার

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি চাহিদাযুক্ত পণ্য হল মুদি দোকানের পণ্য। কেননা আমরা যা ক্রয় করি অর্থাৎ তেল থেকে শুরু করে লবণ পর্যন্ত সবকিছুই মুদি দোকানের পণ্য।

বুঝা গেল এ ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে। অতএব আপনি মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে মুদি ক্রয় করে তা পাইকারি হিসেবে বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দিতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সুন্দরভাবে ব্যবসাটি করতে পারেন।

১২.পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হল শার্ট- প্যান্টের ব্যবসা

এই ব্যবসায় অনেক চাহিদা রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করেছে। কেননা প্রত্যেকটা মানুষেরই শার্ট-প্যান্টের দরকার হয়। বুঝা গেল চাহিদা অনেক বেশি। অতএব আপনি ইচ্ছা করলে শার্ট প্যান্টের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন।

অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে শার্ট প্যান্ট ক্রয় করে তা বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন অথবা আপনি নিজেই তৈরি করে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি হিসেবে সাপ্লাই দিতে পারবেন।

১৩. বাচ্চাদের খেলনার ব্যবসা

প্রত্যেকটি শিশু খেলনা পছন্দ করে। তাই এ ব্যবসায় অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই এ ব্যবসায় সফল হচ্ছে। আপনি পাইকারি হিসেবে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।

১৪. অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা হল ইলেকট্রিক পণ্যের  ব্যবসা

বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ইলেকট্রিক পণ্য লাগে। এই পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। অতএব আপনি পাইকারি হিসেবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

যদি আপনি এই ব্যবসাটি পাইকারি হিসেবে করতে চান তাহলে আপনার থেকে 20 লক্ষ টাকা লাগবে। আপনি কোম্পানির কাছ থেকে এলেক্ট্রিক পণ্য পাইকারি হিসেবে ক্রয় করে তা বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করবেন।

১৫. কসমেটিকস পণ্যের ব্যবসা

কসমেটিকস পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। কারন বর্তমান সময়ের মেয়েরা কসমেটিকস পণ্য পছন্দ করে বেশি। এই ব্যবসায় অনেক লাভ।

আপনি পাইকারি হিসেবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। অর্থাৎ বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে কসমেটিকস পণ্য ক্রয় করে তা বিভিন্ন গ্রামে অথবা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।

১৬. স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা

বাংলাদেশে প্রচুর স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা রয়েছে । খাতা-কলমের প্রচুর প্রয়োজন পড়ে। বুঝা গেল এ ব্যবসায় অনেক চাহিদা রয়েছে।অতএব আপনি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন খুব সহজেই।

আপনি কোম্পানির কাছ থেকে পাইকারি দরে স্টেশনারি পণ্য ক্রয় করে তা ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন পাইকারি হিসেবে।

এই ব্যবসায় অনেক লাভ হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এ ব্যবসা শুরু করতে পুঁজি বেশি লাগে না। অতএব আপনি এ ব্যবসা নির্ধিদায় শুরু করতে পারেন।

পরিশেষে বলব : আমি এতক্ষণ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে যা আলোচনা করলাম। আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং পরিপূর্ণভাবে আইডিয়া গ্রহণ করেছেন।

অতএব আইডিয়া অনুযায়ী আজই আপনি আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। যদি আপনার লেখাটি ভালো লেগে থাকে এবং অনেক উপকৃত হন।

তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ।।

FAQ

কিভাবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করবো ?

ব্যবসা শুরু করার পূর্বে
১. কোন পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।
২. ঐ সমস্ত পন্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন যে পণ্য সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ জ্ঞান রয়েছে।
৩. সব সময় কম দামে কিনা চেষ্টা করবেন। অন্যথায় লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন ।

I always like to learn and spread new things. So my main aim is to bring up new topics related to all types of business ideas.

Leave a Comment