আপনি কি পাটজাত পণ্যের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
পাটজাত পন্যের চাহিদা অনেক বেশি। একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ২০১১-১২ অর্থবছরে পাটজাত পন্যের রপ্তানি ছিল ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার।
সর্বশেষ ২০২২- ২৩ অর্থবছরে ৯১ কোটি ডলারের পাটজাত পনের রপ্তানি হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের ছিল পাটের সুতা, ১১ কোটি ডলারের ছিল পাটের বস্তা , ১০ কোটি ডলারের ছিল পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য।
আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাট পণ্যের রপ্তানি করে ৫০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব।
তাহলে বুঝতেই পারছেন এই ব্যবসায় চাহিদা অনেক বেশি। আজ আমি পাটজাত পণ্যের ব্যবসা করার আইডিয়া দিব।
অতএব আপনাকে সমস্ত লেখাটি পড়তে হবে মনোযোগ সহকারে। চলুন আলোচনা শুরু করা যায়।
পাটজাত পণ্যের ব্যবসা ২০২৪
আমি প্রথমেই পাট দিয়ে কি কি পণ্য তৈরি করা যায় এ নিয়ে আলোচনা করর। এরপর এ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এ নিয়ে আলোচনা করব। তাই আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পাটের তৈরি জিনিসপত্র কি কি ?
পাট দিয়ে নানান পণ্য তৈরি করা যায়। যেমন :
- শাড়ি
- জুতা
- নানা ডিজাইনের ব্যাগ
- স্যান্ডেল
- বিছানার চাদর
- পর্দা
- বস্তা
- কার্পেট
- পাটের তৈরি পোশাক
- সুতা
- বিভিন্ন ডিজাইনের ঝুড়ি ইত্যাদি এরকম হরেক রকমের পণ্য তৈরি করা যায়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
পাটজাত পণ্যের ব্যবসা করার নিয়ম
অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে । আমি প্রতিটি নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
১. প্রশিক্ষণ নিতে হবে ।
সর্বপ্রথম আপনাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে । যারা এ ব্যবসা করছে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন।
২. পাট সংগ্রহ ।
এরপর আপনাকে পাট সংগ্রহ করতে হবে। অবশ্যই ভালো পাট সংগ্রহ করতে হবে। যাতে করে প্রোডাক্টের মান ভালো থাকে। কৃষকদের কাছ থেকে পাঠ সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। এতে করে কম দামে পাট পাবেন।
আবার ইচ্ছে করলে যে সমস্ত কোম্পানিগুলো পাট সংগ্রহ করে তাদের কাছে ভালো মানের পাট পাবেন সেগুলো সংগ্রহ করবেন।
আরো পড়ুন : ৫টি লাভজনক স্টক ব্যবসার আইডিয়া । ( ব্যবসা করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন )
৩. স্থান নির্বাচন করবেন।
অর্থাৎ এমন একটি স্থান নির্বাচন করবেন। যে স্থানে যাতায়াত এর সুবিধা বেশি। যাতে গাড়ি যাতায়াত করতে পারে।
৪. মেশিনারী ক্রয় ।
অর্থাৎ সেলাই করার জন্য সিলাই মেশিন। পাশাপাশি আর নানান ধরনের প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র ক্রয় করতে হবে। যেগুলো পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
৫. পণ্য মার্কেটিং ।
আপনার পণ্য সম্পর্কে মানুষদেরকে জানানোর জন্য মার্কেটিং করতে হবে। এজন্য বর্তমানে সবচেয়ে অনলাইনে মার্কেটিং অন্যতম উপায়।
facebook , youtube এ অন্য সম্পর্কে মার্কেটিং করতে পারেন। এতে করে খুব সহজেই আপনার পণ্য সম্পর্কে মানুষ আইডিয়া পেয়ে যাবে।
এতে করে আপনার অন্য খুব দ্রুত বিক্রি হবে। দিন দিন চাহিদা আরো বাড়বে।
৬. বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন।
আপনি ইচ্ছা করলে আপনার পণ্যগুলো বাংলাদেশে বিক্রি না করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন। কেননা বিদেশে এ সমস্ত পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি।
এজন্য যারা বিদেশে রপ্তানি করে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। এতে করে আপনি খুব সহজেই ভালোভাবে আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
আর বিদেশে রপ্তানি করার জন্য অবশ্য আপনাকে এক্সপোর্ট লাইসেন্স করা লাগবে। এরপর বিভিন্ন বায়ারদের সাথে কথা বলতে হবে যারা বাংলাদেশ থেকে পাট রপ্তানি করে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
৭. প্রদর্শনী করে বিক্রি।
আমাদের বিভিন্ন জেলায় জেলায় অথবা বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় পাটের প্রদর্শনী হয়। ঐ সমস্ত প্রদর্শনীতে আপনার পন্যগুলো দেখিয়ে খুব সহজেই সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে পাটজাত পণ্যের ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বর্তমান সময়ে পাটজাত পণ্যের পণ্য চাহিদা অনেক বেশি। এই চাহিদা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। অতএব বসে না থেকে আজই এই আনকমন ব্যবসাটি শুরু করে দিন।