আপনি কি ফার্মেসি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক এবং চাহিদা পূর্ণ ব্যবসা হল ফার্মেসি। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে। এই ব্যবসার চাহিদা কখনো কমবেনা।
কেননা দিন যত বাড়ছে মানুষ তত বাড়ছে। মানুষ হলে তো অসুস্থ হবেই। আর অসুস্থ হলে তো ওষুধ লাগবে । এ হিসেবে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কমছে না।
আজ আমি ফার্মেসি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। পাশাপাশি এ ব্যবসার কৌশল কি , লাভ কেমন হয় সে সম্পর্কেও আলোচনা করব।
যদি আপনি কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অল্প সময়ে এ ব্যবসায় সফলতা লাভ করতে পারবেন।
ফার্মেসি ব্যবসা কি ?
যে সমস্ত দোকানগুলোতে আমাদের নানান প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায় তাকেই আমরা ফার্মেসি বলে থাকি।
পাশাপাশি ব্যবসা বলতে আমরা ওই ব্যবসাকে বুঝি যেখানে কোন সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নানান ধরনের ঔষধ বিক্রি করা হয়।
মোটকথা যে সমস্ত দোকানে সরকারি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি করা হয় পাশাপাশি প্রেসক্রিপশন ছাড়াও সাধারণ জ্ঞান অথবা এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ হয়ে রোগীদের বিভিন্ন ঔষধ দেওয়া হয়। এসমস্ত দোকানে ঔষধ পাইকারি এবং খুচরা দোনোভাবে বিক্রি করা হয়।
ফার্মেসি ব্যবসা কেন করবেন ?
ফার্মেসি হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে চাহিদার শেষ নেই। পাশাপাশি এই ব্যবসায় খুব দ্রুত অল্প সময়ে খুবই লাভবান হওয়া যায়। কেননা প্রত্যেকটা মানুষের ওষুধের প্রয়োজন পড়ে।
ঔষধ এমন একটি জিনিস যেটা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারবে না। মোটকথা ঔষধ হলো মানুষের পরম বন্ধু এটাকে ছাড়া মানুষ কোনভাবেই বাঁচতে পারবে না।
তাহলে আমার বুঝতে পারলাম ওষুধ খুবই চাহিদাপূর্ণ পণ্য। ওষুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অতএব আপনি এই ওষুধের ফার্মেসি দিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে অর্জন করতে পারবেন।
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য কি কি প্রয়োজন পড়বে ?
এই ব্যবসা অনেক গুরত্বপূর্ণ ব্যবসা। প্রত্যেকটা মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবনের সাথে জড়িত এই ব্যবসা। অর্থাৎ ঔষধ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের সাথে জড়িত।
অতএব এই ব্যবসাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। তাহলে খুব সহজেই এ ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন। অন্যথায় নানান ধরনের বিপদে সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১. আপনার ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে।
অর্থাৎ বিভিন্ন রোগীদের জন্য তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অথবা তাদের চাহিদা অনুপাতে ওষুধ বিক্রি করার জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি লাইসেন্স থাকতে হবে।
এই লাইসেন্স যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি কখনোই ফার্মেসি ব্যবসা করতে পারবেন না। যদি এই লাইসেন্স ছাড়া আপনি ব্যবসা করেন । তাহলে আপনি অবৈধ বলে ঘোষিত হবেন।
ড্রাগ লাইসেন্স কি ?
ড্রাগ লাইসেন্স হলো আপনার ফার্মেসিতে নানান ধরনের ওষুধ বিক্রি করার জন্য হাই কোর্ট থেকে অনুমতি নেওয়া ।
ড্রাগ লাইসেন্স আবেদন করার জন্য কি কি বিষয় প্রয়োজন পড়বে ?
- আপনি যদি দোকান ভাড়া নিয়ে থাকেন তাহলে সেই ভাড়াকৃত দোকানের একটি চুক্তি পত্রের ফটোকপি লাগবে।
- আপনার একটা ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
- আপনি যে লাইসেন্সের জন্য ফি জমা দিবেন তার মূল কপি লাগবে।
- যে ব্যক্তি পূর্বে থেকে ফার্মেসি ব্যবসা করে এমন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে আপনার একটি সনদ থাকতে হবে।
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- এরপর আপনাকে একটি ফর্মে আপনার জন্ম বৃত্তান্ত লিখে জমা দিতে হবে।
এই সমস্ত বিষয় অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স এর আবেদন করার পূর্বে লাগবে।
২. ফার্মেসি ডিগ্রি অর্জন করতে হবে ।
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে আপনার যদি একটি ফার্মেসি ডিগ্রি থাকে তাহলে খুব উপকারী হতে পারে। ফার্মেসি বিশেষজ্ঞদের সাথে থেকে শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা একটি ভাল ধাপ হতে পারে অথবা ফার্মেসীর উপর কোর্স করতে পারেন।
৩. ভালো একটি স্থান করা ।
ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যেমন : বাজার , বাস স্টেশন , শহরতলী ইত্যাদি এরকম লোকসমাগম স্থানে দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
৪. অভিজ্ঞ ডাক্তারের সুব্যবস্থা রাখা ।
অর্থাৎ সাপ্তাহিকভাবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সুব্যবস্থা রাখা । এর ফলে আপনার ব্যবসার প্রসিদ্ধিলাভ করবে। পাশাপাশি আপনার ঔষধ বিক্রি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
৫. ওষুধ সংগ্রহ করা ।
অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সমস্ত সংগ্রহ করা । যাতে গ্রাহক আপনার কাছে এসে সমস্ত সংগ্রহ করতে পারে । এতে করে আপনার বিক্রি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
পরিশেষে বলবো :
উপরে ফার্মেসি ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আইডিয়া দিলাম। আশা করি আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া ২০২৫