২০২৫ সালে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় লাভ কেমন ?

 আপনি কি জানতে চান ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য ।

বর্তমান সময় সকলেই বেকার বসে না থেকে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু সমস্যা হলো পুঁজি। অর্থাৎ পুঁজি না থাকার কারণে ব্যবসা করতে পারছে না।

বর্তমান সময়ে আপনাকে আর হতাশ হতে হবে না। কেমন আপনি অল্প পুঁজি দিয়েই ফেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তাই আজ আমি ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরব যাতে করে আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম ২০২৫

নিয়ম বলার আগে আমি আলোচনা করব ফেক্সিলোড কি ? এ ব্যবসায় লাভ কেমন ? যাতে করে আপনার বুঝতে সুবিধা হয় ‌। ও আপনি ডিসাইড করতে পারেন এই ব্যবসাটি শুরু করবেন কিনা ?

ফ্লেক্সিলোড কি ?

ফেক্সিলোড হল কোম্পানির নির্ধারিত সিম থেকে গ্রাহকের সিমে টাকা পাঠানো অর্থাৎ টাকা রিচার্জ করা বা টাকা ঢুকান আর এই টাকা পাঠানোর আদান-প্রদানকে ফ্লেক্সি লোড ব্যবসা বলা হয়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় লাভ কেমন ?

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। সিম কোম্পানি সাধারণত প্রতি এক হাজার টাকায় ৩০ টাকা ফ্লেক্সিলোড কমিশন দিয়ে থাকে। এই হিসেবে যদি আপনি দিনে ৫০০০ টাকার ফ্লেক্সিলোড দিতে পারেন তাহলে আপনি ১৫০ টাকা কমিশন পাবেন।

এখানে কমিশনটা একটু কম হচ্ছে। কিন্তু সিম কোম্পানি আপনাকে নানানভাবে কমিশন দিয়ে থাকবে অফার বিক্রি করার কারণে ।

যেমন ধরুন : আপনি যদি কারো কাছে ৪০০ টাকার অফার বিক্রি করেন তাহলে কোম্পানি আপনাকে অতিরিক্ত ৩০ টাকা দিবে।

এমনিভাবে যদি কারো কাছে ৫০০ টাকার অফার বিক্রি করেন তাহলে সিম কোম্পানি আপনাকে অতিরিক্ত 35 টাকা কমিশন দিবে।

এরকম নানান ভাবে সিম কোম্পানি আপনাকে অনেক কমিশন দেবে। এই হিসেবে এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। তাই দেরি না করে এই ব্যবসা এখনই শুরু করে দিন।

বিস্তারিতভাবে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম

আমি এখানে প্রথমে আলোচনা করব এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে ? তারপর কিছু নিয়ম বলবো। তাহলে আপনার কাছে বিষয়গুলো আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

ফেক্সিলোড ব্যবসা কিভাবে শুরু করব ?

এ ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে আপনি কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন।

১.ট্রেড লাইসেন্স লাগবে । এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না।

আর ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং দোকানের যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। অতএব এ সমস্ত বিষয় খেয়াল করে ট্রেড লাইসেন্স করে নিবেন।

২. ফ্লেক্সিলোড করার জন্য সিম লাগবে। অর্থাৎ আপনি যে সমস্ত সিম কোম্পানির ফ্লেক্সিলোড করতে চাচ্ছেন ঐ সমস্ত কোম্পানির সিম গুলো সংগ্রহ করতে হবে।

এই হিসেবে আপনি যদি বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিম গুলোর ফ্লেক্সিলোড করতে চান তাহলে মোটামুটি পাঁচটি সিম সংগ্রহ করতে হবে।

  • গ্রামীন
  • এয়ারটেল
  • রবি
  • টেলিটক
  • বাংলালিংক

এ সমস্ত সিম অবশ্যই সংগ্রহ করবেন প্রতিনিধির কাছ থেকে।

৩. মোবাইল সেট সংগ্রহ করবেন। অর্থাৎ আপনি যে কয়টি সিমের ফ্লেক্সিলোট করবেন ঐ কয়টি মোবাইল সেট সংগ্রহ করবেন। অতএব আপনি যদি পাঁচটি কোম্পানির ফেক্সিলোড করেন তাহলে পাঁচটি মোবাইল সেট সংগ্রহ করবেন। তাহলে আপনার জন্য অনেক সুবিধা হবে।

৪. জায়গা নির্বাচন । আপনি এমন একটি জায়গা নির্বাচন করবেন যেখানে লোকসমাগম বেশি। এতে করে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুত সফলতা লাভ করবে। যেমন গ্রাম হলে বাজার , শহর হলে বাসস্ট্যান্ড ও নাম করা জায়গা গুলো। এ সমস্ত বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

ফ্লেক্সিলোড করার নিয়ম

প্রত্যেকটি সিমের জন্য আলাদা আলাদা ফ্লেক্সিলোড করার নিয়ম রয়েছে।

গ্রামীণফোনের ফ্লেক্সিলোড করার নিয়ম

অনেকে বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপস অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফ্লেক্সিলোড করে থাকে।

তবে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ একটি নিয়ম রয়েছে যে নিয়মটির মাধ্যমে সাধারণত প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী ফ্লেক্সিলোড করে থাকেন।

অর্থাৎ প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী একটি কোডের মাধ্যমে ফ্লেক্সিলোড করে থাকেন। সে কোডটি হলো

*222*ফোন নাম্বার*টাকার পরিমান*0*পিন নাম্বার#

  • অর্থাৎ সর্বপ্রথম আপনাকে *222*দিতে হবে।
  • এরপর যে নাম্বারে ফ্লেক্সিলোড করতে হবে ওই নাম্বারটি দিতে হবে।
  • এরপর কত টাকা ফ্লেক্সিলোড হবে ওই পরিমাণটি দিতে হবে।
  • এরপর *0* দিতে হবে।
  • এরপর আপনার গোপনীয় পিন নাম্বারটি দিতে হবে।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

ফেক্সিলোড ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিয়ম 

যখন আপনি ট্রেড লাইসেন্স , কয়েকটি মোবাইল ব্যবস্থা করবেন। এরপর সিম কোম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে ফ্লেক্সিলোডের সিম গুলো গ্রহণ করবেন।

এরপর আপনি ওই সিমের মাধ্যমে ফেক্সিলোড শুরু করবেন। এরপর ফেক্সিলোড করার জন্যে কিছু কোড রয়েছে ওই কোডগুলো অবশ্যই প্রতিনিধির কাছ থেকে জেনে নিবেন।

তারপর আপনি নির্দ্বিধায় ফ্লেক্সিলোড শুরু করবেন। ফিক্স এর পাশাপাশি বিভিন্ন অফার বিক্রি করবেন। তাহলে আপনি আরো বেশি লাভবান হবেন।

পরিশেষে বলবো : উপরে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আশা করি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া

FAQ

এক সিম দিয়ে সব সিমে ফ্লেক্সিলোড করা সম্ভব কিনা ?

হ্যাঁ বর্তমান সময়ে একটি সিম দিয়ে সকল সিমে ফ্লেক্সিলোড করা যায় এবং একটি অ্যাপ দিয়ে সকল সিমে ফ্লেক্সিলোড করা যায়। তবে এ সমস্ত সিমে কমিশন কম। তাই সবচেয়ে ভালো হলো আলাদা আলাদা সিম দিয়ে ব্যবসা করা। সুবিধা বেশি এবং লাভ বেশি।

ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত ?

ফ্লেক্সিলোড সিমের জন্য কোন ধরনের টাকা প্রদান করতে হয় না। বরং কোম্পানি আপনাকে ফ্রিতে দিয়ে দিবে। আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

I always like to learn and spread new things. So my main aim is to bring up new topics related to all types of business ideas.

Leave a Comment