আপনি কি বাদাম স্টক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
আমাদের দেশে দিন দিন বাদামের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন জনগণের মধ্যে। এজন্য বাদামের স্টক ব্যবসা বর্তমান সময়ে খুব সম্ভাবনাময়ী একটি ব্যবসায়িক ধারণা।
সুতরাং আপনিও এই চাহিদা পণ্য এবং জনপ্রিয় বাদামের স্টক ব্যবসা করে নিজেকে সফলদের কাতারে থাকতে পারেন।
তাই আমি বাদাম স্টক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
বাদাম স্টক ব্যবসা ২০২৪
আমরা নিচে বাদামের এই স্টক ব্যবসার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বাদামের স্টক ব্যবসার উপকারিতা:
প্রথমত বাদামের স্টক ব্যবসার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।
১, উচ্চ চাহিদা:
বাদাম একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। অনেক মানুষ বাদানকে প্রতিদিনের খাবারের রুটিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এজন্য বাদামের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সুতরাং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই ফলটির বর্তমান বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
২, সীমিত বিনিয়োগ:
বাদামের স্টক ব্যবসা করতেন খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। অল্প টাকায় বাদামের স্টক ব্যবসা করা যায়।
৩, লভ্যাংশ বেশি:
যেহেতু বর্তমান বাজারে বাদামের চাহিদা খুব বেশি। আর এই চাহিদা সারা বছর জুড়ে থাকে। পাশাপাশি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বাদামের দাম উঠা নামা করে থাকে। যার ফলে বাধা স্টক ব্যবসায় লাভের পরিমাণটা বেশি হয়।
৪, সংরক্ষণ সহজ:
বাদামের স্টক ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি উপকারিতা হলো খুব সহজেই বাদাম কে দীর্ঘদিন যাবত সংরক্ষণ করা যায়।
বাদাম স্টক করতে অতিরিক্ত কোন বড় ধরনের চাপ সহ্য করতে হয় না। কারণ বাদাম এমনিতেই দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
বাদামের স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে জরুরী কিছু বিষয় :
এখন আমরা বাদামের স্টক ব্যবসা শুরু করার পূর্বে জরুরী কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। যা আপনার জানা থাকা খুব প্রয়োজন।
১, বাজার গবেষণা:
বাদামের স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে বাদামের বাজার নিয়ে গবেষণা করতে হবে। যেমন বাদাম কত প্রকার হয়ে থাকে, বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বাদাম উৎপাদন হয়ে থাকে।
এবং তার মধ্যে থেকে কোন কোন জেলার বাদাম লোকসমাজে খুব বেশি পরিচিত, কোন মৌসুমী কোন বাদামের চাহিদা কেমন, কোন জেলা থেকে বাদাম ক্রয় করলে পরিমাণ লাভ হতে পারে, এসব কিছু আপনাকে বাজার গবেষণা করে বের করতে হবে।
প্রয়োজনে আপনি বাদামের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
২, গোডাউন:
বাদামের স্টক ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি গোডাউন ভাড়া নিতে হবে। এবং নিরাপদে স্থলে হওয়া চাই।
সবদিক দিয়ে সিকিউরিটি ঠিক রাখতে হবে। যাতে বৃষ্টির সময় পানি জমা না হয়। অন্যথায় বাদাম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সব মিলিয়ে উনাকে বাদামের স্টক করতে একটি উপযুক্ত স্থানে গোডাউন নির্বাচন করতে হবে।
বাদামের স্টক ব্যবসার বিভিন্ন ধরন:
এখন বাদামের স্টক ব্যবসার বিভিন্ন ধরন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
১, পাইকারি ব্যবসা:
আপনি বাদামের সিজনে একজন বাদাম উৎপাদনকারীর থেকে পরিমাণ বেশি করে বাদাম ক্রয় করে স্টক করবেন।
পরবর্তীতে বাদামের অন্য কোন পাইকারি বড় ব্যবসায়িক আছে স্টকে রাখা সবগুলো বাদাম একযোগে বিক্রি করে দিবেন।
২, খুচরা ব্যবসা:
আপনার স্টকে থাকা বাদামগুলো বিক্রি করতে আপনি সরাসরি বাদামের খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে করে আপনার লাভের পরিমাণটা বেশি হবে।
৩, অনলাইন ব্যবসা:
বর্তমান সময়ে সবকিছুই অনলাইন কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। সুতরাং অনলাইন বাজারটা অনেক সমৃদ্ধ এবং বহুল প্রচলিত। এজন্য আপনি আপনার বাদাম অনলাইনে বিক্রিও করতে পারেন।
বাদামের স্টক ব্যবসায়ে অতিরিক্ত লাভবান হওয়ার কিছু টিপস:
এখন বাদামের স্টক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভবান হওয়ার কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।
১, বাজারজাতকরণ:
আপনার স্টকে থাকা বাদামগুলো বাজারজাত করার ক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সব সময় বাদাম বাজারে মূল্যের ওঠান আমার তথ্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। যে কোন স্টক ব্যবসার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে সময় বুঝে স্টকে থাকা বাদাম গুলো বাজারজাত করতে হবে।
২, পরিবহন:
আপনার স্টকে থাকা বাদামগুলো পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছাতে আপনি একটি নিজস্ব পরিবহন রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি উভয় দিক থেকে লাভবান হতে পারবেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে বাদাম স্টক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এই স্টক ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন