আপনি কি সুপারি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য ।
বাংলাদেশের সব জেলাগুলোতে সুপারি ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং ঝুঁকি কম থাকায় সুপারি ব্যবসায় সফলতার হার বেশি হয়ে থাকে।
তবে সুপারি ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানা থাকা চাই।যাতে অল্পতেই সফলতা লাভ করতে পারেন ।
তাই আজ আমি সুপারি ব্যবসা আইডিয়া দিব। পাশাপাশি বলব কোথায় থেকে সুপারি সংগ্রহ করবেন ?
যাতে কোন ঝামেলায় ছাড়া এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সুপারি ব্যবসা আইডিয়া ২০২৪
অর্থাৎ নিচে সুপারি ব্যবসা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানাবো। যাতে অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারেন ।
আশা করি আপনি অনেক উপকৃত হবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে লেখাটি পড়তে হবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
১, সুপারির প্রকার:
সাধারণভাবে আমাদের দেশে দুই ধরনের সুপারি দেখা যায়। একটি কাঁচা সুপারি আর অন্যটি হলো শুকনো সুপারি নামে পরিচিত।
পান খাওয়ার জন্য মূলত এই দুই ধরনের সুপারি নামক মসলা ব্যবহার করা হয়। অনেকে পানের সাথে কাঁচা সুপারি খেতে পছন্দ করে ।
আবার অনেকে শুকনো সুপারি খেতে পছন্দ করে। সুতরাং আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে উভয় প্রকারের সুপারির ব্যবসা করতে পারেন।
২, সুপারি একটি স্টক ব্যবসা:
সুপারি একটি শীতকালীন ফল। সুতরাং যেহেতু সুপারি সিজনাল ফল তাই সবচেয়ে ভালো আইডিয়া হলো স্টক করে রাখা।
সিজনে একবার স্টক করে রাখতে পারলে সরা বছর এখান থেকে বিক্রি করা যায়। সুপারি ব্যবসার সবচেয়ে মুক্ষম সময় হলো এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত।
কারণ এ সময়ে সিজনের প্রথম সুপারি বাজারে আসে। আর সিজনে মূল্য ও তুলনামূলক কম থাকে।
সুতরাং এ সময় সুপারি স্টক করে রাখলে পরবর্তীতে খুব বেশি লাভবান হওয়া যায়।তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কাঁচা সুপারি এক বছরের বেশি সময় স্টক করে রাখা যায় না।
কারণ, এক বছর পরে তা নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য আপনাকে চৌকান্না থাকতে হবে এক বছরের ভিতরে যখনই ভালো দাম পাওয়া যাবে সাথে সাথে স্টকের সব সুপারি বিক্রি করতে হবে। তবে শুকনো সুপারির ক্ষেত্রে আবার এরকম কোন আশঙ্কা নেই।
৩, সুপারি সংগ্রহ:
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক জেলাগুলোতে সুপারি চাষ করা হয়। তবে আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে যেকোনো জায়গা থেকে সুপারি ক্রয় করবেন না।
কেননা সুপারির জন্য কিছু নির্দিষ্ট জেলা আছে খুব নামকরা। এবং সাধারণ মানুষ ও সে সব জেলার সুপারি খেতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
নিচে সুপারি জগতে নামকরা কিছু জেলা এবং উপজেলার নাম উল্লেখ করা হলো।
- বরিশাল, পিরোজপুর জেলা, ইন্দোরকানী ও কাউনিয়া খালি উপজেলা।
- লক্ষীপুর, রায়পুর ও হাজিরগঞ্জ উপজেলা।
- ফেনি ও নোয়াখালী জেলা।
- বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা।
- পঞ্চগড় সদরের জালাসি নামক মোড়ে সুপারির অনেক বড় বাজার হয়।
এসব জায়গা থেকে আপনি পাইকারি মূল্যে এবং একসাথে অনেক ভালোমানের সুপারি ক্রয় করতে পারবেন।
৪: সুপারি বিক্রি:
আপনার নিজস্ব এলাকায় যে সব খুচরা ব্যবসায়ী আছে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। তবে মূল্যের ব্যাপারে সব সময় খোঁজ খবর রাখতে হবে। যেমন পাশের বাজারে কত মূল্যে বিক্রি করা হয়। আপনি ও সেই মূল্যে বিক্রি করবেন।
আবার আপনি চাইলে চা-পানের স্টোরগুলোতে খুচরা সুপারি বিক্রি করতে পারেন।কারণ, এসব দোকানগুলোতে প্রতিনিয়ত শতাধিক খিলি পান বিক্রি হয়।
তবে সেক্ষেত্রে আপনি তাদের জন্য পাইকারি ও খুচরা মূল্যের সম্বনয়ে একটি মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।এতে আপনি বেশি বিক্রির কারণে লাভবান হবেন।
বাজারে কাঁচা সুপারির থেকে স্বাভাবিকভাবে শুকনো সুপারির মূল্য বেশি হয়ে থাকে। আর কাঁচা সুপারি পিচ হিসেবে বিক্রি হয় ।
কিন্তু শুকনো সুপারি কেজি দরে বিক্রি করা হয়। আর দাম বেশি হওয়ার কারণ হলো শুকনো সুপারিতে একটু প্রসেসিং করা লাগে।
সুতরাং আপনি কাঁচা সুপারি কে শুকনো সুপারিতে রূপান্তরিত করে ঝুঁকিহীন ভাবে সারা বছর বেশি দরে বিক্রি করতে পারেন।
আরো পড়ুন : মুদি ব্যবসার আইডিয়া : ব্যবসা করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ।
৫: মূলধন:
সুপারি ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যা আপনি চাইলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ও শুরু করতে পারেন।
তবে আপনার মূলধন বিবেচনা করা হবে আপনার ব্যবসায়িক চিন্তাধারা অনুযায়ী। অর্থাৎ আপনি কি খুচরা সুপারি বিক্রি করবেন নাকি পাইকারি বিক্রি করবেন নাকি স্টক ব্যবসায়ী হবেন।
উপসংহার
উপরে সুপারি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করলাম । এই ব্যবসাটি খুব লাভজনক ব্যবসা।
সুতরাং আপনি যদি উপরোক্ত নিয়মগুলো মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
আশাকরি আপনি অনেক উপকার পেয়েছেন । লেখা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।