আপনি কি হালাল ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য।
সাধারণত মুসলিম হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ব্যবসা করা। কারণ আল্লাহতায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন।
আর এমন ব্যবসা করা যে ব্যবসা হালাল। ব্যবসার ব্যাপারে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা। কেননা ইসলাম হারাম ব্যবসাকে কখনোই প্রাধান্য দেয় না বা পছন্দ করেন না।
তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই এমন একটি ব্যবসা অবলম্বন করা যে ব্যবসাটি হালাল। হারামের কোন অংশ থাকবে না।
তবে অনেকেই কোন ব্যবসাটি হালাল এবং কোন ব্যবসাটি হারাম তা নির্ণয় করতে পারে না ধারণা না থাকার কারণে।
তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে হালাল ব্যবসার আইডিয়া দিব। পাশাপাশি কিভাবে ব্যবসাগুলো করতে হয় সে সম্পর্কেও সুক্ষ থেকে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো তুলে ধরব।
যাতে করে কোন ধরনের প্রবলেম এর শিকার না হন। বরং খুব সহজেই ব্যবসা গুলো করতে পারেন।
এবং অল্প সময়ে অনেক লাভবান হতে পারেন। তাই আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
হালাল ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
আমি এখানে ব্যবসার আইডিয়া দেওয়ার পূর্বে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
যেমন: হালাল ব্যবসা কি , হালাল ব্যবসার সুবিধা গুলো কি কি , হালাল ব্যবসার বৈশিষ্ট্য কি কি এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সকলেরই জানা উচিত।
এরপর ব্যবসা আইডিয়া দিব। তাহলে আপনাদের ব্যবসা করতে অনেক সুবিধা হবে। ফলে খুব দ্রুত ব্যবসা করে অনেক লাভবান হতে পারবেন।
পাশাপাশি ব্যবসা করে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
হালাল ব্যবসা কি ?
হালাল ব্যবসা বলতে আমরা বুঝি যে ব্যবসার মধ্যে ধোঁকাবাজি থাকবে না। বরং বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ই মাল আদান প্রদান করবে সন্তুষ্ট চিত্তে।
অর্থাৎ ক্রেতা টাকা প্রদান করবে এবং বিক্রেতা মাল প্রদান করবে। এক্ষেত্রে উভয়ই সন্তুষ্ট থাকবে।
এই আদান-প্রদান এর মধ্যে কোন ধরনের ধোঁকাবাজি হবে না। যেমন :
- বিক্রেতা ক্রেতাকে ভালো মাল প্রদান করবে। খারাপ মাল দেবে না।
- খারাপ জিনিসকে ভালো বলে বিক্রি করা জায়েজ হবে না বরং হারাম ব্যবসা হবে।
- লাভ বেশি করার জন্য কোন ধরনের চালাকি করা যাবেনা।
- ক্রেতা বিক্রেতাকে নকল টাকা দিতে পারবেনা।
- ক্রয় বিক্রয়ের সময় সত্য কথা বলতে হবে। কোনভাবেই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। তাহলে হারাম ব্যবসা হয়ে যাবে।
- কোন জিনিস বিক্রয়ের সময় কোন সমস্যা থাকলে ক্রেতাকে বলে দিতে হবে। অন্যথায় হারাম ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়ে যাবে।
- ৫০ টাকার মাল অধিক লাভের আশায় ৩০০ টাকা বলে বিক্রি করা যাবেনা। অর্থাৎ আপনি একটি মাল ৩০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করলেন। ক্রেতাকে বললেন আমি এই মাল ২৫০ টাকা দিয়ে কিনেছি। অথচ আপনি কিনেছেন ৫০ টাকা দিয়ে। এখানে এক ধরনের ধোঁকাবাজি হল
মোটকথা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় এমন কোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে না যে পদ্ধতিগুলো ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ।
তাহলে ওই ব্যবসাটি হারাম হয়ে যাবে। পাশাপাশি যে সমস্ত পণ্য ইসলামে নিষিদ্ধ ঐ সমস্ত পণ্য বিক্রি করা যাবেনা।
তাহলেও ওই ব্যবসাটি হারাম হয়ে যাবে। অতএব হালাল ব্যবসা করার জন্য হালাল পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
পাশাপাশি ব্যবসার সময় কোন ধরনের ধোঁকাবাজি ও মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। তাহলে ব্যবসা হালাল হয়ে যাবে।
হালাল ব্যবসার সুবিধা কি কি ?
হালাল ব্যবসার সুবিধা অনেক রয়েছে। আমি কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরছি।
- হালাল ব্যবসা করার দ্বারা গ্রাহকরা আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে। ফলে বেশি বেশি গ্রাহকরা আপনার কাছ থেকে পণ্য নেবে। এতে করে আপনার বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে।
- হালাল ব্যবসার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার বরকত ও রহমত অনেক আসে।
- হালাল ব্যবসা করার দ্বারা মনের সন্তুষ্টি লাভ হয় ও আলাদা এক ধরনের তৃপ্তি অনুভব হয়।
- হালাল ব্যবসা করার দ্বারা লোকসমাজে সম্মান বৃদ্ধি পাওয়া যায়।
- হালাল ব্যবসার মধ্যে বিক্রয় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে করে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করা যায়।
- হালাল ব্যবসার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাফল্য নানান দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মোটকথা হালাল ব্যবসার মধ্যে দুনিয়াও লাভ রয়েছে এবং আখিরাতে অনেক লাভ রয়েছে। এর দ্বারা আল্লাহতালা অনেক সন্তুষ্ট হন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হালাল ভাবে ব্যবসা করেছেন। অতএব আমাদেরকেও হালালভাবে ব্যবসা করতে হবে।
এতে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হবেন। ফলে ব্যবসার মধ্যে বরকত হবে। ব্যবসার উন্নতি লাভ হয়। ফলে ব্যবসা সাফল্য খুব সহজে পাওয়া যায়। আল্লাহতালা আমাদের সকলকে ভালভাবে ব্যবসা করার তৌফিক দান করুন।
হালাল ব্যবসার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য কি কি ?
হালাল ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো :
- সত্যবাদিতা অবলম্বন করা। কোনভাবেই ব্যবসার মধ্যে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। ৫০ টাকার মাল ৫০০ টাকা বলে বিক্রি করা যাবে না , খারাপ মাল ভালো বলে বিক্রি করা যাবেনা। ইত্যাদি এরকম নানান মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না।
- ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেওয়া যাবে না। বরং আমানতদারের আশ্রয় নিতে হবে।
- ব্যবসার মধ্যে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। মনের মধ্যে আল্লাহ তাআলার ভয় রাখতে হবে। আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান মনে রাখতে হবে।
- ব্যবসার মধ্যে হালাল-হারাম সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসার মধ্যে কোন বিষয়গুলো হারাম এবং কোন বিষয়গুলো হালাল এই সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।
উপরের বর্ণিত বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে ফলো করতে হবে হালালভাবে ব্যবসা করার জন্য। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ব্যবসা হালাল হওয়ার শর্ত কি কি ?
অনেকগুলো শর্ত রয়েছে। সে শর্তগুলো হলো :
- ক্রয় বিক্রয়ের সময় ওজনে কম দেওয়া যাবে না। বরং সঠিক ওজনে মেপে ক্রয় বিক্রয় করতে হবে।
- হালাল পণ্য বিক্রি করতে হবে। হারাম পণ্য বিক্রি করা যাবেনা ।
- ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয় সন্তুষ্টিক্রমে ক্রয় বিক্রয় করতে হবে।
- ভেজাল পণ্য বিক্রি করা যাবে না।
- পন্যে কোন সমস্যা থাকলে ক্রেতাকে বলে দিতে হবে।
- মাল জমা করে সংকট তৈরি করা যাবে না।
- গ্রাহকদের সাথে কোনভাবেই ধোঁকাবাজি করা যাবে না।
এই শর্তগুলো মেনে ব্যবসা করলে আপনার ব্যবসা হালাল হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
১২ টি হালাল ব্যবসার আইডিয়া
আমি নিচে প্রায় ১২টি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব। যে ব্যবসা নির্ভরযোগ্য এবং প্রসিদ্ধ। পাশাপাশি এই ব্যবসায় খুব সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন।
শুধু আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং সময় দিতে হবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
১. বইয়ের ব্যবসা করতে পারেন।
বইয়ের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। এই ব্যবসা অনেক চাহিদা পূর্ণ। এই ব্যবসাটি অনেক লাভজনক। পাশাপাশি সম্মানজনক। হালাল ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এই ব্যবসাটি অন্যতম একটি ব্যবসা।
বইয়ের ব্যবসা করার নিয়ম
- মোটামুটি এক লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার পুঁজি লাগবে।
- ভালো একটি স্থান নির্বাচন করবেন। যেমন : বাজার , বাস স্টেশন , শহরতলী ইত্যাদি এরকম লোকসমাগম স্থানে দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বই সংগ্রহ করবেন।
- পাশাপাশি আশপাশে যদি স্কুল কলেজ থাকে তাহলে স্কুল-কলেজের পরিচালকদের সাথে কথা বলে ওই স্কুল কলেজের বিভিন্ন বই সংগ্রহ করবেন। এতে অনেক লাভবান হতে পারবেন।
- আর যদি মাদ্রাসা থাকে তাহলে মাদ্রাসার পরিচালকদের সাথে কথা বলে মাদ্রাসার সমস্ত বই সংগ্রহ করবেন।
- পাশাপাশি ইসলামিক বিভিন্ন বই সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন হাদিস , ইসলামিক উপন্যাস , ইসলামের ইতিহাস , বিভিন্ন জীবনী , কোরআন ইত্যাদি এ জাতীয় বিভিন্ন ইসলামিক বই।
আর যদি আপনার পুঁজি কম থাকে তাহলে অনলাইনে বই বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন চাহিদা পূর্ণ বই বিক্রি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে ব্যবসার নিয়ম হলো
- সর্বপ্রথম আপনাকে মার্কেট যাচাই-বাছাই করতে হবে।
- মার্কেট যাচাই-বাছাই করে বের করতে হবে গ্রাহকদের কোন ধরনের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেশি।
- এরপর ঐ সমস্ত বই কোথায় পাওয়া যায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এরপর ঐ সমস্ত লাইব্রেরীদের সাথে কথা বলতে হবে।
- এরপর আপনাকে অনলাইনে মার্কেটিং করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
- এজন্য আপনি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন মার্কেটিং এর জন্য।
- আর যদি সম্ভব হয় তাহলে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে সেখানে বইগুলো বিক্রি করতে পারেন।
- এজন্য আপনাকে ভালোভাবে এসইও করতে হবে যাতে করে গ্রাহকদের কাছে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পৌঁছে যায়।
আশা করি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। উপরে পদ্ধতি গ্রহণ করে খুব সহজে একটি বইয়ের ব্যবসা করতে পারেন। আর প্রতিমাসে নিম্নে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২. কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন।
কাপড়ে ব্যবসা খুবই হালাল একটি ব্যবসা। এই ব্যবসাটি বড় বড় সাহাবায়ে কেরাম করেছেন। অতএব এই ব্যবসাটি আপনিও করতে পারেন।
এই ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ব্যবসার চাহিদা কমবে না। বরং বাড়তেই থাকবে। হালাল ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এই ব্যবসাটি অন্যতম একটি ব্যবসা।
কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
- সর্বপ্রথম আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন।যেমন : মহিলাদের পোশাক নিয়ে ব্যবসা করবেন , নাকি পুরুষদের পোশাক নিয়ে ব্যবসা করবেন , নাকি বাচ্চাদের পোশাক নিয়ে ব্যবসা করবেন। যেকোনো এক ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা ভালো। এতে করে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করা যায়।
- সবচেয়ে ভালো হয় পণ্য নির্বাচন করার আগে মার্কেট নিয়ে গবেষণা করা। অর্থাৎ কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা মার্কেটে বেশি। ঐ সমস্ত পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা।
- এরপর একটি ভাল একটি স্থান নির্বাচন করবেন। যেমন : বাজার , বাস স্টেশন , শহরতলী ইত্যাদি এরকম লোকসমাগম স্থানে দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- এ ব্যবসা করার জন্য নিম্নে দুই থেকে তিন লাখ টাকার পুজি নিয়ে শুরু করতে হবে।
- পন্যগুলো পাইকারি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করবেন। এতে খুব কম দামে ক্রয় করতে পারবেন।
- অবশ্যই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সংগ্রহ করবেন। এতে অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন ।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে কাপড় ব্যবসা অনেকেই করছে। সফলতা লাভ করছে। তাই আপনিও চাইলে অনলাইনে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এতে পুঁজি অনেক কম লাগবে। তবে আপনার পরিশ্রম অনেক করতে হবে।
এ ব্যবসা করার নিয়ম
- সর্বপ্রথম মার্কেট নিয়ে গবেষণা করবেন। কোন ধরনের পণ্য বেশি বিক্রি হয় সেগুলোকে সিলেক্ট করবেন।
- এরপর পন্যের দোকানের সাথে কথা বলবেন। আর যদি আপনার সংগ্রহে থাকে তাহলে তো ভালো কথা।
- এরপর ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করতে পারেন। এজন্য আপনি ফেসবুকে এড রান করার মাধ্যমে পোশাককে প্রচার প্রসার করতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন।
- এজন্য অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং এর উপর ভালো ধারণা রাখতে হবে। আর যদি আপনি মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে ইউটিউবে বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখে শিখতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রচুর ভিডিও পেয়ে যাবেন।
- আর যদি পারেন তাহলে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে সেখানেও এরকম পোশাক বিক্রি করতে পারেন।
- এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন পোশাকের রিভিউ দিতে হবে। এরপর ঐ পোশাকগুলো বিক্রি করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভালোভাবে এসইও করতে হবে। যাতে করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায়।
আশা করি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখান থেকে প্রতিমাসে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই দেরি না করে আজ এই চমৎকার ব্যবসাটি শুরু করে দিন।
আরো পড়ুন : দুর্দান্ত ১১টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া
৩. হালাল ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ফার্মেসির ব্যবসা করতে পারেন।
ফার্মেসির ব্যবসা একটি হালাল ব্যবসা। এ ব্যবসাটি অনেক চাহিদাপূর্ণ। অতএব এই ব্যবসাটি আপনি গ্রহণ করতে পারেন।
ফার্মেসি ব্যবসা করার নিয়ম
- এক লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার পুঁজি লাগবে।
- ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যেমন : বাজার , বাস স্টেশন , শহরতলী ইত্যাদি এরকম লোকসমাগম স্থানে দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- এই ব্যবসা জন্য ট্রেনিং নিতে হবে। ট্রেনিং হিসেবে আপনি বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে সময় দিতে পারেন।
- পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেখার জন্য ফার্মেসীদের উপর কোর্স করতে পারেন।
- গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঔষধ সংগ্রহ করতে পারেন।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এখান থেকে প্রতিমাসে ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
৪. কসমেটিক্স এর ব্যবসা করতে পারেন।
এ ব্যবসাটি হালাল একটি ব্যবসা। বর্তমান সময়ে ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে। হালাল ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এই ব্যবসাটি অন্যতম একটি ব্যবসা।
কসমেটিক্স ব্যবসা করার নিয়ম
- এ ব্যবসা করতে মোটামুটি এক লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকার পুঁজি লাগবে।
- ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে।
- চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সংগ্রহ সংগ্রহ করতে হবে।
- অন্যগুলো পাইকারি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এখান থেকে প্রতিমাসে ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
আরো পড়ুন : কসমেটিকস পাইকারি বাজার কোথায় কোথায় আছে ?
৫. চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
চা খেতে সকলেই পছন্দ করে। এই ব্যবসাটি হালাল। এ ব্যবসা অল্প পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব।হালাল ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এই ব্যবসাটি অন্যতম একটি ব্যবসা।
চায়ের ব্যবসা করার নিয়ম
- ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে । যেমন : বাজার , বাস স্টেশন , শহরতলী ইত্যাদি এরকম লোকসমাগম স্থানে দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- বিভিন্ন ধরনের চা তৈরি করতে হবে।
- আনকমন এবং মজাদার চা তৈরি করতে হবে।
- চা এর মধ্যে বিভিন্ন ফ্লেভার যুক্ত করতে পারেন।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
৬. ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতে পারেন।
ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা খুবই লাভজনক। পাশাপাশি এই ব্যবসাটি হালাল একটি ব্যবসা। এ ব্যবসা করে খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন। হালাল ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এই ব্যবসাটি অন্যতম একটি ব্যবসা।
ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করার নিয়ম
- এই ব্যবসার জন্য ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকার পুঁজি থাকলেই যথেষ্ট।
- বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান বাছাই করতে হবে। যেখানে ভ্রমণ প্রিয় লোকেরা যেতে পছন্দ করে।
- যাতায়াত এবং থাকার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
- এরপর ভালোভাবে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে।
- মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। অথবা একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে ভ্রমণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। এজন্য ভালোভাবে এসইও করতে হবে।
আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখান থেকে প্রতিমাসে ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
আরো পড়ুন : সঠিক উপায়ে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করার নিয়ম
এরকম আরো অনেক হালাল ব্যবসা রয়েছে।
নিচে কয়েকটির তালিকা দেওয়া হল:
৭. হালাল খাবার তৈরী করে ব্যবসা করতে পারেন।
৮. হস্তশিল্পের বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারেন।
৯. মাছের চাষ করে ব্যবসা করতে পারেন।
১০. ধানের ব্যবসা করতে পারেন।
১১. সবজি বিক্রি করতে পারেন।
১২. মুরগির ফার্ম দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
ইত্যাদি এরকম অহর অহর ব্যবসা রয়েছে। যে ব্যবসা হালাল। আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এ ব্যবসা করে খুব সহজেই অনেক লাভবান হতে পারবেন। পাশাপাশি অনেক বরকত লাভ করতে পারবেন।
পরিশেষে বলবো:
উপরে হালাল ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। অতএব আপনি যদি এই ব্যবসাগুলো করতে চান ।
তাহলে আপনি ব্যবসা শুরু করে দিবেন উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী। লেখাতে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।
FAQ
বরকতময় ব্যবসার নাম কি কি হতে পারে ?
ইসলামিক ব্যবসার নাম অনেক রকমের হতে পারে। যেমন :
১. ইকরা শপ
২. মুসলিম শপ
৩. হালাল সব
৪. ইসলামিক প্লেস
৫. হালাল কর্নার ইত্যাদি।
মূল্যবান হালাল উৎস থেকে রিজিক ও টাকা আয়ের তথ্য ও মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। নিশ্চয়ই হালাল রিজিকের দ্বারা গঠিত রক্তমাংসের ইবাদতই গ্রহণযোগ্য।