আপনি কি ৮ লাখ টাকায় ব্যবসা আইডিয়া খুঁজতেছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
একটি ব্যবসা শুরু করতে ৮ লাখ টাকা যথেষ্ট। সুতরাং আর বেশি দেরি না করে দ্রুত ব্যবসার দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।
তাই আজ আমি ৮ লাখ টাকায় ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। অতএব আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।
৮ লাখ টাকায় ব্যবসা আইডিয়া
নিচে আমরা ৮ লাখ টাকার মধ্যে লাভজনক কিছু ব্যবসা সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১, ভাতের হোটেল:
শহরে মানুষ কাজের ব্যস্ততায় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ কর্মস্থলে রওনা দেয়। আবার দুপুর কিংবা রাতে সময়মতো ফিরতে না পারে না বাসা-বাড়িতে।
এভাবে বাহিরে কেটে যায় হাজারো মানুষের দিন রাত। এজন্য সকাল, দুপুর কিংবা রাতে সব সময় কিন্তু তাদের খেতে হয় বাহিরের হোটেলগুলোতে।
অনেকে আবার বাসায় থাকলেও রান্নার সময় বের করতে না পেরে হোটেল থেকে ক্রয় করে খাবার খেয়ে থাকে।
সব মিলিয়ে ভাতের হোটেলের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ব্যবসাটি অনেক লাভজনক ও বটে। তবে কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন-
- স্থান নির্বাচন : ভাতের হোটেলের জন্য একটি পারফেক্ট স্থান বা পজিশন খুঁজে বের করা। যেমন অফিস-আদালত, স্কুল -কলেজ, ইউনিভার্সিটি, কিংবা বাস স্ট্যান্ডের পাশে হতে পারে।
- খাবার মানসম্মত: খাবারের মান সর্বদা বজায় রাখা। এবং কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার তৈরি করা।
২, ফাস্টফুড ব্যবসা:
আধুনিকতার যুগে আমাদের দেশে ও ফাস্টফুড খাবারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি ৮ লাখ টাকার মধ্যে একটি ফাস্টফুড ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা। তবে এই ব্যবসার জন্য উপরের ভাতের হোটেলের মতো উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষনীয়।
৩, মাছ চাষ:
আমাদেরকে মাছে-ভাতে বাঙ্গালী বলা হয়। মাছের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। নিচে আমরা মাছ চাষ করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
(১) স্থান নির্বাচন:
মাছ চাষের জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে। গ্রামে একটি বড় পরিসরে পুকুর বা খাল খনন করতে হবে। তারপর খননকৃত পুকুরে চুন ইত্যাদি দিতে হবে।
(২) মাছ নির্বাচন:
আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে, আপনি কোন ধরণের মাছ চাষ করবেন। মিষ্টি পানির মাছ চাষ করবেন নাকি নোনা পানির মাছ চাষ করবেন।
যে কোন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর আপনি পুকুর মিষ্টি অথবা নোনা পানি দ্বারা পূর্ণ করবেন।
(৩) তদারকি করা:
মাছ চাষ করার পর তদারকি বা দেখাশোনার জন্য আপনি নিজে অথবা একজন লোক রাখতে হবে।
সব সময় খোঁজ খবর নিতে হবে। কারণ, অনেক সময় মাছে ভাইরাস লাগতে পারে। তখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে বিভিন্ন সার-ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
৪, কাপড়ের ব্যবসা:
আপনি ৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কাপড় এমন একটি জিনিস যা সারা বছর জুড়ে চাহিদা থাকে।
এবং কাপড়ের ব্যবসা অনেক লাভজনক। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি কোন একটি গার্মেন্টসের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন, তাহলে আপনি পাইকারি কম দামে কাপড় ক্রয় করতে পারবেন।
এবং লাভের অংশটা তুলনামূলক অন্যদের থেকে বেশি পাবেন। কাপড়ের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কাস্টমারদের সাথে খুব নমনীয়ভাবে কথা বলতে হবে।
এবং তাদের কথায় উত্তেজিত না হয়ে বরং তাদেরকে আপনার কাপড় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। এবং কোন কাপড়ের কি গুণাগুণ আছে তা বর্ণনা করতে হবে।
৫, ইট-খোয়া, বালুর ব্যবসা:
শহর থেকে নিয়ে গ্রাম গঞ্জে এখন মধ্যবিত্তরাও দালন-কোটা নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুতরাং আপনি ৮ লাখ টাকা দিয়ে ইট-খোয়া, বালুর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি কোন একটি ইটের ভাটার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা সিজনের আগে খুব অল্প দামে ইট বিক্রি করে।
যা পরবর্তীতে ইট তৈরি করে দিয়ে দেয়। এজন্য আপনি শুরুতে তাদের কে ৮ লাখ টাকা দিয়ে রাখলে পরবর্তীতে ইট নিয়ে খুব ভালো ব্যবসা জমাতে পারবেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে ৮ লাখ টাকায় ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন :