আপনি কি ঢাকায় কি ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। এই লেখাটি শুধু আপনার জন্য।
বর্তমানে অনেক লোকই ঢাকায় বসবাস করে। তারা ঢাকায় বসবাস করতে ভালোবাসে। এজন্য তারা ঢাকায় বসবাস করে ব্যবসা করতে চায়।
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এখানে অসংখ্য ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব প্রত্যেকের উচিত পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে ব্যবসা শুরু করা। তাহলে ক্ষতির সম্মুখীন কখনো হবেন না।
তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে ঢাকায় কি ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোনক্রমে-ই ক্ষতির সম্মুখীন না হন। অতএব আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।
২০২৪ সালে ঢাকায় কি ব্যবসা করা যায় ?
আমি আপনাদের সুবিধার্থে এখানে ঢাকা শহরে জনপ্রিয় এবং কিছু সফল ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো।
যে ব্যবসার মধ্যে কোন রিস্ক নাই বরং অনেক লাভ রয়েছে । আর এই ব্যবসাগুলো ঢাকা শহরের জন্য উপযুক্ত ।
যদি আপনি সময় দেন এবং পরিশ্রম করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন।
১, রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে:
ঢাকা শহরের মানুষ ব্যস্ত জীবন কাটায়। এজন্য তারা কাজ ও বিশ্রাম শেষে ঘরে রান্নার সুযোগ পায় না।
তাই ব্যস্ত এ শহরে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে একটি জনপ্রিয় এবং পরিমাণে অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।
তবে শহরের মানুষ খাবার সম্পর্কে একটু বেশি সচেতন হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যসম্মত বিভিন্ন ধরনের দেশি খাবার এবং নতুন নতুন রেসিপি পাশাপাশি বিদেশি খাবার ও ফাস্টফুড বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
এসব খাবারের চাহিদা ঢাকা শহরে রাত দিন সব সময় থাকে। ঢাকা শহরের প্রতিটি রেস্তোরাঁর একটি করে ফেসবুক পেইজ থাকে।
যার মাধ্যমে অনলাইনে অনেক মানুষ খাবারের অর্ডার করে । সুতরাং যে কোন রেস্তোরাঁ ব্যবসা সফল হতে খুব বেশি সময় লাগে না।
২, স্ট্রিট ফুড:
ঢাকা শহরে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছোট-বড়, ছেলে-মেয়ে সব ধরনের এমনকি উচ্চ শ্রেণীর মানুষের কাছে ও স্ট্রিট ফুড অনেক জনপ্রিয়।
স্ট্রিট ফুড ব্যবসায় লাভজনক হওয়ার পাশাপাশি অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন – অন্যান্য ব্যবসার মতো স্ট্রিট ফুড ব্যবসায় যোগ্যতার তেমন কোন প্রয়োজন পড়ে না।
যে কোন বয়সের মানুষ চাইলে এ ব্যবসা শুরু করতে পারে। আবার অন্যান্য ব্যবসার মতো অনেক বেশি পুঁজির ও প্রয়োজন পড়ে না।
স্ট্রিট ফুড ব্যবসা হলো মোবাইল ব্যবসার মত । সুতরাং আপনি যে কোন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ব্যবসা করতে পারবেন।
এবং ভাড়া দেওয়ার ও কোন চিন্তা থাকে না। স্ট্রিট ফুড ব্যবসায় আপনি বিক্রি করতে পারবেন, যেমন- ফুসকা, পানিপুরি, ও ঝালমুড়ি, সিঙ্গারা , সামুচা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন : বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া ২০২৪
৪, অনলাইন ফ্যাশন শপ:
ই-কমার্সের যুগে অনলাইন ফ্যাশন শপ ও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে বিশেষ করে মহিলারা বেশিরভাগ কেনাকাটা অনলাইনে করে থাকে।
আপনি নতুন ফ্যাশনের জামা-কাপড়ের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আর এজন্য আপনাকে প্রথমে একটি ফেসবুক পেইজ খুলতে হবে।
এবং সেখানে আপনার ফ্যাশন শপের প্রতিটি পণ্য নিয়ে আলাদা করে সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে পেইজে আপলোড দিবেন।
৬, অনলাইন কোর্স:
ঢাকা শহরে মানুষ অনলাইন থেকে অনেক কিছু শিখতে চায়। কোন বিশেষ ভাষা, কম্পিউটার, অথবা টিউশনি ও হতে পারে ।
আপনার যে বিষয়ে ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে আপনি সে বিষয়ে অনলাইনে একটি কোর্স খুলতে পারেন।
৭, বিউটি পার্লার:
ঢাকা শহরের মেয়েরা অনেক সাজসজ্জা করে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। আর এজন্য তারা বিউটি পার্লারগুলোতে ভিড় জমায়।
এখানে বিশেষ করে মেয়েদের সাজসজ্জার সমস্ত উপাদান পাওয়া যায়। বর্তমানে এ ব্যবসাটি অনেক লাভজনক ব্যবসা।
৮, ফুড ডেলিভারি:
আপনার নিজের তৈরি খাবার অথবা বড় কোন রেস্টুরেন্টের সাথে পার্টনারশিপ করে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস দিতে পারেন।
এজন্য আপনি কিছু ডেলিভারি বয় ও রাখতে পারেন। সব সময় চাহিদা থাকায় এ ব্যবসা করেও আপনি লাভবান হতে পারবেন।
৯, কাঁচামাল:
ঢাকা শহরে মানুষ কাঁচামাল ক্রয় করতে বাজারে যাওয়া পছন্দ করে না। তারা সব সময় ভ্যান থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে।
এ ব্যবসা করতে খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। আপনি একটু রাত থাকতে কাঁচামালের আড়ৎ থেকে বিভিন্ন পদের কাঁচামাল নিয়ে ভ্যানে করে কোথাও বসে থাকলেই সব কাঁচামাল বিক্রি হয়ে যাবে।
ঢাকা শহরে ব্যবসার ক্ষেত্র সতর্কতা
তবে ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১, স্থান নির্বাচন:
যে কোন ব্যবসা সফল করতে স্থান তথা পজিশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার উদ্দিষ্ট ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা অপরিহার্য।
বিশেষ করে যে স্থানে সাধারণ মানুষের আনাগোনা বেশি থাকে সে স্থান ব্যবসার জন্য অধিক উপযুক্ত হবে।
২, গ্রাহক সেবা:
গ্রাহকদের সাথে সব সময় ভালো আচরণ করা । এতে আপনার ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
পরিশেষে বলবো:
উপরে ঢাকায় কি ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। অতএব আপনি যদি এই ব্যবসাগুলো করতে চান ।
তাহলে আপনি ব্যবসা শুরু করে দিবেন উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী। লেখা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।