আপনি কি কনফেকশনারী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে চান ? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। এই লেখাটি শুধু আপনার জন্য।
বর্তমান সময়ে একটি অনেক চাহিদা পূর্ণ ব্যবসা হলো কনফেকশনারি ব্যবসা। প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে কনফেকশনারি ব্যবসা কি ?
কনফেকশনারি ব্যবসা বলতে আমাদের প্রচলিত বেকারি ব্যবসা কে বুঝানো হয়। আপনার কনফেকশনারি ব্যবসাকে আরো লাভজনক করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে।
আমরা এখানে একটি কনফেকশনারি ব্যবসা গড়তে যা প্রয়োজন সব বিষয়ে পর্যায়েক্রমে আলোচনা করবো।
অতএব এই কনফেকশনারী ব্যবসার আইডিয়াকে মনোযোগ সহকারে পড়বেন । তাহলে আপনি আপনার সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন ।
কনফেকশনারী ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
নিচে আমি কনফেকশনারী ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যদি আপনি সময় দেন এবং পরিশ্রম করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
১, ব্যবসা পূর্ব পরিকল্পনা:
শুধুমাত্র কনফেকশনারি ব্যবসা আইডিয়া এর জন্য নয় বরং সব ধরণের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে নির্দিষ্ট ঐ ব্যবসার জন্য একটি পূর্ব পরিকল্পনা থাকা অতিব প্রয়োজন।
আপনার ব্যবসাকে কিভাবে সেট করবেন অর্থাৎ আপনার ব্যবসা কিভাবে কোথায় শুরু হবে। এবং পরবর্তীতে এর কর্মক্ষেত্র কোথায় হবে। মোটকথা আপনার ব্যবসার একটি নির্দিষ্ট ছক তৈরি করে রাখতে হবে।
ব্যবসা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে পারলে ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব। এবং সাথে সাথে বড় ধরণের ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকাও সম্ভব হয়।
এজন্য কনফেকশনারি ব্যবসার জন্য একটি পূর্ব পরিকল্পনা করে নিবেন।
২, মূলধন:
যে কোন ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম মৌলিক বিষয় হলো ব্যবসার মূলধন। আপনার ব্যবসা থেকে কতটুকু পরিমাণ লাভ হবে তা নির্ভর করে আপনার মূলধনের উপর।
তবে বর্তমান বাজারে ২-৩ লাখ টাকা হলে আপনি কনফেকশনারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তবে মূলধনের ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
অর্থাৎ টাকা-পয়সা যে কোন জায়গায় ইচ্ছা মতো খরচ করা যাবে না। এজন্য আপনাকে ক্ষেত্র হিসেবে টাকার পরিমাণ ভাগ করে নিতে হবে।
যেমন – দোকান নির্মাণের জন্য একটি অংশ থাকবে, আবার কনফেকশনারি মালামাল তৈরির জন্য অথবা ক্রয়ের জন্য একটি অংশ থাকবে, এভাবে অন্যান্য বিষয়ের খরচের জন্য একটি করে অংশ আলাদা করে নিতে হবে।
তাহলে আপনি স্বল্প পুঁজিতে ও কনফেকশনারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
৩, স্থান নির্বাচন:
আপনার কনফেকশনারি ব্যবসা আইডিয়া এর জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আপনার স্থানের নির্ভর করে আপনার বেচাকেনা। আর বেচাকেনা যত বেশি হবে আপনি তত বেশি লাভবান হতে পারবেন।
সুতরাং দেখা গেল, আপনি কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই একম একটি স্থানে কনফেকশনারি দোকান দিলেন, যেখানে মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হয়।
অথবা এককোণে হওয়ার কারে মানুষ আপনার দোকানে যেতে চায় না। এজন্য আপনাকে দেখতে হবে কোথায় মানুষের আনাগোনা বেশি হয়ে থাকে।
মানুষ কোথায় সারা দিনে ২-৩ বার একত্রিত হয়। যেমন – স্কুল -কলেজ ইউনিভার্সিটি, অফিস আদালতের সামনে অথবা মসজিদ মাদ্রাসার সামনে, অথবা বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এবং রানিং রোডে ও হতে পারে।
৪, কনফেকশনারি মালামাল:
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি কনফেকশনারি খাবারের চাহিদা হলো পাউরুটি, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি। এছাড়াও পাশাপাশি বার্গার, পেস্ট্রি, স্যান্ডউইচ, পিজাসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড খাবারের চাহিদাও প্রচুর রয়েছে।
৫, অন্যান্য মালামাল রাখা:
কনফেকশনারি মালামাল রাখার পাশাপাশি আপনাকে দোকানে আরো কিছু মালামাল রাখতে হবে। তাহলে মানুষ আরো বেশি আকৃষ্ট হবে।
যেমন – আপনি কসমেটিকস কিছু পণ্য রাখতে পারেন। আবার চাইলে কিছু মুদি পণ্য রাখতে পারেন।
৬, বাজার গবেষণা:
আপনার নির্বাচিত এলাকার বর্তমান বাজার চাহিদা কেমন। তা নিয়ে একটু গবেষণা করা। মানুষের চাহিদা কোন পণ্যে প্রতি এটা খুঁজে বের করা।
এবং সে গবেষণার ফল অনুযায়ী আপনার কনফেকশনারি ব্যবসা কে ঢেলে সাজাতে হবে।
৭, সদাচরণ:
মনে রাখতে হবে কাস্টমারদের সাথে সদাচরণ করা ব্যবসার অন্যতম ভূষণ। এজন্য সব সময় আপনার কাস্টমারদের সাথে সদাচরণ করতে হবে।
তাদের সাথে কোনভাবে ব্যবসা কেন্দ্রীক কোন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করা যাবে না । এতে অন্য আরো দশটা কাস্টমার আপনার থেকে হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। এজন্য সব সময় কাস্টমারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করা।
পরিশেষে বলবো :
উপরে কনফেকশনারী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া ২০২৪