২০২৪ সালে মাছের ব্যবসার আইডিয়া : মাসে আয় করুন লক্ষ টাকা ।

আপনি কি মাছের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে চান ? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। এই লেখাটি শুধু আপনার জন্য।

বাংলাদেশের মানুষ কে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙ্গালী। কারণ, এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত ও মাছ।

মাছের ব্যবসার আইডিয়া

সুতরাং এমন দেশে মাছের ব্যবসা করাটা অনেক লাভজনক ব্যবসা হবে। আপনি যদি মাছের ব্যবসা করতে চান , তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।

আমরা এখানে একটি মাছের ব্যবসা গড়তে যা প্রয়োজন সব বিষয়ে পর্যায়েক্রমে আলোচনা করবো।

অতএব এই মাছের ব্যবসার আইডিয়াকে মনোযোগ সহকারে পড়বেন । তাহলে আপনি আপনার সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন ।

মাছের ব্যবসার আইডিয়া 2024

আমরা নিচে পর্যায়ক্রমে মাছের ব্যবসা শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

১, বাজার গবেষণা:

প্রথম আপনাকে মাছের বাজার নিয়ে একটু গবেষণা করতে হবে। যেমন – বর্তমান বাজারে কোন মাছের চাহিদা বেশি আছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে।

এবং কোন মাছের ব্যবসায় কি পরিমাণ লাভ হয়। এসব কিছু আপনাকে বর্তমান মাছের বাজার গবেষণা করে জানতে হবে।

২, ব্যবসার ধরন:

আমাদের দেশে মূলত দু’ভাবে মাছের ব্যবসা করা যায়। আপনি চাইলে যে কোন একটি পথ ধরে মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

(ক) মাছ পাইকারি ক্রয় করে খুচরা বিক্রি:

সাধারণ জেলেদের থেকে মাছ পাইকারি দরে ক্রয় করে পরবর্তীতে আপনি খুচরা মাছ বাজারে বিক্রি করতে পারেন।

এজন্য আপনাকে বিভিন্ন জেলেদের সাথে আগে থেকে যোগাযোগ রাখতে হবে। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, মাছ ক্রয়ের পরে যাতে নষ্ট না হয় এজন্য সাথে সাথে বরফ দিতে হবে।

(খ) মাছ চাষ:

আমাদের দেশে দ্বিতীয় প্রকার মাছের ব্যবসা হলো নিজে মাছ চাষ করা। একটু কষ্ট হলেও মাছ চাষের ব্যবসা অনেক লাভজনক। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়গুলো জানা থাকতে হবে।

(১), পুকুর বা খাল খনন:

মাছ চাষের জন্য আপনাকে উপযুক্ত একটি পুকুর বা খাল খনন করতে হবে। তারপর সেখানে চুন ইত্যাদি কীটনাশক ব্যবহার করে পানি ভরাট করতে হবে।

(২) মাছ নির্বাচন করা:

আপনাকে পুকুর বা খালে পানি দেওয়ার আগে মাছ নির্বাচন করতে হবে। আপনি কোন ধরণের মাছ চাষ করবেন।

নোনা পানির মাছ না মিষ্টি পানির মাছ সেটা প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী পুকুর বা খাল ভরাট করবেন।

(৩), মাছ দেয়া:

এখন পুকুরে মাছ দেয়ার পালা। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে ছোট মাছের পোনা আনতে পারেন। হ্যাচারি থেকে নিলে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।

(৪), দেখাশোনা করা:

মাছ সংরক্ষণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন হয় তা ব্যবহার করা। যেমন – চতুর্মুখী ঘেরাও করে রাখা, মাছের জন্য সকাল বিকাল মাছের ফুড খেতে দেওয়া, রোদে তাদের থাকার জন্য কোন এক কোণে একটু ছায়ার ব্যবস্থা করা।

এবং মাছ বড় হওয়া পর্যন্ত ৩-৪ মাস যা লাগে সব সময় দেখাশোনা করা। কখনো মাছের ভাইরাস লাগে এজন্য ভাইরাস ছড়ানোর আগে তার কীটনাশক ব্যবহার করা।

(৫), মাছ বিক্রি করা:

যখন মাছ বড় হয়ে বিক্রি করার উপযুক্ত হবে। তখন আপনি চাইলে বিভিন্ন বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টের সাথে যোগাযোগ করে বিক্রি করতে পারবেন। অথবা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছেও বিক্রি করতে পারবেন।

৩, মূলধন:

সব ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে মাছের ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার মূলধন নির্ভর করবে আপনি কোন ধরণের মাছ ব্যবসা করবেন তার উপর।

অর্থাৎ আপনি যদি জেলেদের থেকে পাইকারি দরে মাছ ক্রয় করে খুচরা বিক্রি করেন, তাহলে এক ধরনের মূলধনের প্রয়োজন হবে।

যেমন -আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে ও শুরু করতে পারবেন। আর মাছ চাষ করে ব্যবসা করলে আরেক ধরনের মূলধনের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনার পুকুর খনন সহ প্রায় ২-৩ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে।

৪, সদাচরণ:

কাস্টমারদের সাথে সব সময় সদাচরণ করা ‌। মাছের দরদাম নিয়ে তাদের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে না পড়া। বরং দাম বৃদ্ধির কারণ তাদের কে বুঝিয়ে বলা।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পদ্ধতি অনুসরণ করলে লাভবান হতে পারবেন।

পরিশেষে বলবো :

উপরে মাছের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার ১৬টি আইডিয়া ২০২৪

I always like to learn and spread new things. So my main aim is to bring up new topics related to all types of business ideas.

Leave a Comment