আপনি কি সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
ব্যবসার জন্য উপযুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বের অন্যতম হলো বাংলাদেশ। এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনপ্রিয় এবং লাভজনক প্রচুর ব্যবসার খাত রয়েছে। সরকারি চাকরির পাশাপাশি আপনি অনেক ব্যবসা করতে পারবেন।
তাই আমি সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা 2024
আমাদের আর্টিকেলে আমরা সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি আপনি যে ব্যবসা করতে পারবেন সেসব ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১, ই-কমার্স ব্যবসা:
অনলাইন কেন্দ্রিক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ই-কমার্স ব্যবসা। মানুষ সাধারণত অনলাইন কেন্দ্রিক জীবনের প্রতিটি কাজ করার চেষ্টা করছে।
ব্যবসা থেকে শুরু করে নিয়ে কেনাকাটা সবকিছুই অনলাইন নির্ভর। আর ই-কমার্স ব্যবসা হল অনলাইনে আপনার নিজস্ব পণ্য অথবা অন্যের পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা।
এই ব্যবসাটি আপনি সরকারি চাকরির পাশাপাশি করতে পারবেন। কেননা সরকারি চাকরি একটি নির্ধারিত সময় ভিত্তিক হয়ে থাকে।
আর ই-কমার্স ব্যবসা যেহেতু অনলাইন কেন্দ্রিক সুতরাং আপনার অফিস টাইম বাদে আপনি অনলাইনে সময় দিলে জনপ্রিয় এবং লাভজনক এই ই-কমার্স ব্যবসা সুন্দরভাবে আঞ্জাম দিতে পারবেন।
২, অনলাইন টিউশনি:
বর্তমান সময়ে মানুষ লেখাপড়ার বিষয়েও অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে। মানুষ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য কোথাও পাঠানো অথবা বাসায় টিউশনি মাস্টার নিয়ে ঝামেলা করতে চায় না।
এজন্য তারা অনলাইনের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদেরকে টিউশনি করার চেষ্টা করে। আর আপনি যেহেতু সরকারি চাকরি করেন তাহলে আপনার জন্য অনলাইন টিউশনি করানো খুব সহজ হয়ে যাবে।
সারাদিন অফিসের ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে ঘরে বসে আপনি অনলাইন টিউশনি করাতে পারবেন।
৩, কনসাল্টিং:
আপনি যেটা একজন শিক্ষিত মানুষ। ব্যবসার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় আপনার পড়াশোনা রয়েছে।
আর বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি তাদের ব্যবসাকে ঠিক রাখতে তারা পরামর্শ দাতা খুঁজে থাকেন। সুতরাং আপনি আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সরকারি চাকরি কোন রকম প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে না।
৪, ইউটিউব চ্যানেল:
বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনটাই অনলাইন এবং প্রযুক্তি নির্ভর। ঘুম থেকে উঠে মানুষ অনলাইনে ঘোরাফেরা করে।
আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগেও তারা অনলাইনে থাকে। সুতরাং আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে বড় ধরনের ইনকাম করতে পারেন।
সেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আবার শিশুদের জন্য বিভিন্ন কার্টুন তৈরি করতে পারেন।
আচ্ছা বা বিভিন্ন গল্পের বই আপনি সিজন আকারে ভলিয়াম তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন কবিতা আবৃতি করতে পারেন।
৫, ব্লগিং :
আপনি চাইলে বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় এবং সমাজের আসল চিত্র তুলে ধরতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে এই ধরনের ব্যবসা গুলো খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক। আর এ ধরনের ব্যবসা আপনি সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি করতে পারবেন। কোন রকম সমস্যা হবে না।
৬, ফ্রিল্যান্সিং:
অনলাইন জগতে জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি ব্যবসা হল ফ্রিল্যান্সিং করা। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অধিকাংশ যুবক এই বিষয়ে মনোনিবেশ করছে।
এবং তারা বিশ্ববাজারে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচয় লাভ করছে। আপনি শিক্ষিত মানুষ হিসেবে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করা খুব সহজ।
আর সরকারি চাকরি আপনার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা করতে পারেন। কেননা ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা আপনি সারাদিন রাতের কোন এক সময় করে নিতে পারবেন।
৭, উৎপাদনশীল ব্যবসা:
আপনি সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি উৎপাদনশীল বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। যেমন আপনি গ্রামে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারেন।
এবং বিভিন্ন ধরনের ফল উৎপাদনের কাজ করতে পারেন। যেমন – কলা , পেয়ারা আনারস, বাদাম ইত্যাদি ফলের চাষ করে স্থানীয় বাজারে অথবা বেশি করে উৎপাদন করে পাইকারি দরে শহর অঞ্চলে বাজারজাত করতে পারেন।
উপরোক্ত আলোচিত ব্যবসাগুলো আপনি সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ওপর কোনরকম চাপ সৃষ্টি হবে না।
পরিশেষে বলবো :
উপরে সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এই ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন