আপনি কি পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
বর্তমান সময়ে পুরাতন ফার্নিচার ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমাদের সমাজে ধনী মানুষেরা যেকোনো ফার্নিচার এক দু বছরের বেশি ব্যবহার করে না।
সব সময় বাসায় নতুন ফার্নিচার দেখতে চায়। আর অন্যদিকে নতুন অথবা অর্ডার দিয়ে তৈরি করা ফার্নিচারের মূল্য বেশি হওয়ায় মধ্যবর্তী এবং নিম্ন শ্রেণীর মানুষ পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় থাকে।
সুতরাং পুরাতন ফার্নিচারের ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। তবে এ ব্যবসাটি করতে আপনাকে অনেকগুলো বিষয় জানতে হবে।
তাই আমি পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম – ২০২৪
আমরা ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক ।
পুরাতন ফার্নিচার ক্রয়ের পূর্বে যে বিষয়গুলো জানা থাকা আবশ্যক:
১, কাঠের গুণগত মান:
পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় করার পূর্বে আপনাকে ফার্নিচারের কার্ড খুব ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
অর্থাৎ ফার্নিচারের কাঠের কোন পোকা আছে কিনা, এবং কাঠের কোনো ছিদ্র আছে কিনা, এবং কাঠ নষ্ট হওয়ার কোন লক্ষণ আছে কিনা। রূপকথা সার্বিক দিক বিবেচনায় কাঠের গুণগতমান ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
২, কাঠামো গঠন:
যেহেতু পুরাতন ফার্নিচার সুতরাং অনেকদিন ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য আপনাকে ক্রয় করার পূর্বে তার কাঠামো এবং গঠন ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
একটু নাড়াচাড়া দিয়ে কোন ভাঙ্গা অথবা জোড়া লাগানো এসব আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
৩, মূল্য নির্ধারণ:
পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় করতে মূল্যের প্রতি আপনার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান ফার্নিচারের বাজার মূল্য কেমন এবং স্থানীয় আরো অন্যান্য ফার্নিচারের দোকানের মূল্যকে বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় করার স্থান সমূহ-
১, অনলাইন মার্কেট:
বর্তমান সময়ে বিনোদন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই অনলাইন কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। সুতরাং আপনি পুরাতন ফার্নিচারও অনলাইন মার্কেটে ক্রয় করতে পারেন। যেমন – bikroy. Facebook marketplace. OLX ইত্যাদি প্লাটফর্মে।
২, পুরাতন ফার্নিচার দোকান:
শহর অথবা শহরতলীতে বর্তমান সময়ে পুরাতন ফার্নিচারের দোকান পাওয়া যায়। আপনি সেখান থেকে ভালোভাবে দেখে শুনে দরদাম ঠিক করে পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় করতে পারেন।
৩, পরিচিতদের থেকে:
অনেক সময় বন্ধু-বান্ধব এবং আরো অনেক পরিচিত মানুষেরা ঘরের ফার্নিচার বিক্রয় করে থাকে। সুতরাং তাদের থেকেও আপনি কম দামে পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় করতে পারেন।
পুরাতন ফার্নিচার বিক্রয় করতে হবে আপনার জন্য যে বিষয়গুলো জানা থাকা আবশ্যক:
- পরিষ্কার রাখা: ফার্নিচারটি পুরাতন হলেও আপনাকে ধুয়ে মুছে অনেক সুন্দর করে পরিষ্কার করতে হবে। এবং ফার্নিচারটি অনেক আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে।
- ময়লা দাগ: আপনার পুরাতন ফার্নিচারের যদি কোন ধরনের দাগ অথবা কাঁটা ছেড়া থাকে তাহলে খুব সতর্কতার সাথে সে সমস্ত ময়লা দাগ মুছে ফেলতে হবে।
- সূর্যের আলো: পুরাতন ফার্নিচার টি সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে। কেননা সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে ফার্নিচারের রং পরিবর্তন হয়ে যায়।
- আদ্রতা: ফার্নিচার কি সরাসরি আদ্রতা থেকেও রক্ষা করতে হবে। এবং খুব বেশি খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনভাবে ফার্নিচারের উপরে বৃষ্টির পানি অথবা অন্য কোন পানি না পড়ে।
পুরাতন ফার্নিচার বিক্রয় করার নিয়ম-
- পুরাতন ফার্নিচার দোকান: আপনি স্থানীয় বাজারে একটি পুরাতন ফার্নিচারের দোকান দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে শহরে এবং অন্যান্য জায়গায়ও এ ধরনের দোকান দেখা যায়।
- অনলাইন বিক্রয়: বর্তমান সময় মানুষ অনেক কিছুই অনলাইনে ক্রয় করে থাকে। সুতরাং আপনি অনলাইনে আপনার পুরাতন ফার্নিচার বিক্রি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে ফার্নিচারটির ফটোগ্রাফি করতে হবে। এবং পরবর্তীতে ফার্নিচারের সমস্ত বিবরণ দিয়ে মূল্যসহ প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রচার মাধ্যম – bikroy, Facebook marketplace. OLX ইত্যাদি।
- মূল্য নির্ধারণ: আপনার পুরাতন ফার্নিচার এর বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে উপযুক্ত একটি মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
পরিশেষে বলবো :
উপরে পুরাতন ফার্নিচার ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন