আপনি কি ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো এ সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
ফার্মেসী ব্যবসা করার ইচ্ছা পোষণ করা খুবই প্রশংসনীয় বিষয়। কেননা এর মাধ্যমে সমাজে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করা হয়।
পাশাপাশি ফার্মেসী ব্যবসা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর মধ্যে ঔষধপত্র অন্যতম।
প্রায় সবারই প্রতিদিন কোনো না কোনো ঔষধের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি ফার্মেসি ব্যবসা করতে চান, তাহলে কিভাবে শুরু করবেন ভেবে পাচ্ছেন না আমরা আপনার জন্যই বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করবো।
তাই আমি ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
২০২৪ সালে ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো ?
আমাদের আর্টিকেলে আমরা ফার্মেসি নিয়ে কিভাবে ব্যবসা করা যায় এ নিয়ে বিস্তারিত আইডিয়া নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করবো।
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে জরুরী বিষয়গুলো :
প্রথমত ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করার জন্য যেসব বিষয়ে প্রস্তুত রাখতে হয়।
১, ফার্মাসিস্ট হিসেবে যোগ্যতা অর্জন:
যেহেতু ফার্মেসী ব্যবসা করবেন সুতরাং আপনার জন্য ফার্মাসিটিক্যাল বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে অনুমোদিত ফার্মাসিস্ট হতে হবে।
২, বাজার গবেষণা:
ব্যবসা শুরু করার পূর্বে বাজার গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরী বিষয়। আপনার জন্য ফার্মাসিটি বাজার নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কোন কোম্পানির ঔষধ কেমন কাজ করে এবং কোন কোম্পানি ঔষধ মানুষের কাছে প্রিয় , অর্থাৎ মানুষ কোন ধরনের ঔষধের চাহিদা প্রকাশ করে এসব বিষয়ে আপনাকে বাজার গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে।
প্রয়োজনে বিভিন্ন পুরাতন ফার্মাসিস্টদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিতে পারেন। বাজার গবেষণার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা করাটা খুব সহজ হয়ে যাবে।
৩, মূলধন:
ফার্মেসি ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আপনাকে যোগাড় করতে হবে। সাধারণত ফার্মেসী ব্যবসার জন্য একটি দোকান ভাড়া নেওয়া এবং সরকারি লাইসেন্সপত্র তৈরি করা সহ আপনার ঔষধপত্র ক্রয় করা সব মিলিয়ে এটা বড় ধরনের মূলধনের প্রয়োজন হবে।
৪, স্থান নির্বাচন:
ফার্মেসী ব্যবসার জন্য উপযুক্ত একটি স্থান নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কেননা আপনি এমন এক স্থানে ফার্মাসি ব্যবসা শুরু করলেন যেখানে মানুষের আনাগনাই নাই।
তাহলে আপনি ব্যবসা লাভবান হতে পারবেন না। এজন্য ফার্মেসী ব্যবসার জন্য উপযুক্ত একটি স্থান আপনাকে খুজে বের করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ বিভিন্ন বিভিন্ন বড় বড় হসপিটাল অথবা ক্লিনিকের আশেপাশে অথবা স্থানীয় বাজারে অথবা দর্শনীয় স্থানেও আপনি ফার্মাসির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য দ্বিতীয় ধাপ:
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য দ্বিতীয় ধাপে আপনার যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। অর্থাৎ আইনে কিছু প্রক্রিয়া আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
- ট্রেড লাইসেন্স: আপনার ফার্মেসী ব্যবসার জন্য সরকারি একটি লাইসেন্স করতে হবে।
- ড্রাগ লাইসেন্স: আপনি যেহেতু ঔষধ বিক্রয় করবেন। আর ঔষধ বিক্রিয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে। মনে রাখতে হবে লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে কখনো ধোকায় পড়ে অথবা অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে দেখানোর জন্য কোন রকম একটি লাইসেন্স তৈরি করা যাবে না। এমন হলে পরবর্তীতে আপনি বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। সুতরাং ড্রাগ লাইসেন্স টি আপনাকে বাংলাদেশ ঔষধ অধিদপ্তরের কাছ থেকেই নিতে হবে।
ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তৃতীয় ধাপ:
ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনাকে তৃতীয় ধাপে যেই বিষয়গুলো জানা থাকতে হবে।
১ , ঔষধ সংগ্রহ:
ঔষধ সংগ্রহের জন্য উনাকে প্রথম প্রথম বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
এবং তাদের সাথে পরিচিত হতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে তারা নিজেরাই আপনার দোকানে এসে আপনার প্রয়োজন পত্র দিয়ে যাবে।
২, ঔষধের গুণগত মান:
ফার্মেসী ব্যবসা যেহেতু মানুষের উপকারার্থে করা সুতরাং সব সময় ভালো বাড়ির অসুখ বিক্রয় করার মন মানসিকতা। এতে সমাজের মানুষের এবং আপনার অনেক উপকার হবে।
৩, গ্রাহক সেবা:
ব্যবসায় গ্রাহক সেবার বিষয়টি খুব খেয়াল করা। কেননা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সাধারণত গ্রাহকরা বুঝতে অক্ষম থাকে। এজন্য তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করে ওষুধ পত্র বিক্রয় করা।
৪, মার্কেটিং:
আপনার ফার্মেসী ব্যবসা মানুষের কাছে পরিচিত করতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অনলাইনে প্রচার প্রসার করা।
পরিশেষে বলবো :
উপরে ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : ঔষধের পাইকারী ব্যবসা