আপনি কি মার্কেটিং ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতেছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
বর্তমান আধুনিক এই যুগে মার্কেটিং ব্যবসা হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি ব্যবসা ক্ষেত্র।
আপনি যদি মার্কেটিং ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার জন্য মার্কেটিং ব্যবসা করার অনেক লাভজনক সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ আমি মার্কেটিং ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। অতএব লাভজনক মার্কেটিং ব্যবসা করতে আমাদের আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।
মার্কেটিং ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
আমি নিচে কিভাবে মার্কেটিং ব্যবসা করা যায় ও এজন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। চলুন আলোচনার শুরু করা যাক।
মার্কেটিং ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ?
মার্কেটিং ব্যবসা হলো এমন একটি ব্যবসা যার মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য অথবা সেবা সম্পর্কে মানুষের ধারণা দেয়া হয়।
এবং মানুষের কাছে এই ধারণা পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল , পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
এক কথায় বলতে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক পণ্য কিভাবে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায়, সে পরিকল্পনা করা এবং তা বাস্তবায়ন ও করা।
মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে:
১. স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং :
- সেবা : ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির বা ব্রান্ডের পণ্য বা সেবা প্রচার প্রসার করা। এবং ক্লায়েন্টের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা, পোস্ট তৈরি করা, ইন্টারেক্টিভ করা, বিজ্ঞাপন চালানো ইত্যাদি।
- লক্ষ্য উদ্দেশ্য: ক্লায়েন্টের স্যোশাল মিডিয়াতে উপস্থিতি বাড়ানো এবং তাদের টার্গেট অনুযায়ী দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা।
- দক্ষতা: বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার, ডেটা বিশ্লেষণ করা। এবং বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জ্ঞান, ভিজুয়াল কন্টেন্ট তৈরি, ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করা ইত্যাদি।
২. কন্টেন্ট মার্কেটিং:
- সেবা : বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদির তৈরির মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা।
এবং ক্লায়েন্টের ব্র্যান্ডকে প্রচার প্রসার করা। - লক্ষ্য উদ্দেশ্য : ক্লায়েন্টের টার্গেট দর্শকদের আকর্ষণ এবং রূপান্তর করার জন্য তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করা।
- দক্ষতা: ভালো লেখার দক্ষতা, বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ফরম্যাট তৈরি, SEO এর ধারণা , ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট তৈরি।
৩. ইনফ্লুয়েঞ্জার মার্কেটিং :
- সেবা : বিভিন্ন ইনফ্লুয়েঞ্জার দের সাথে যোগাযোগ করে ক্লায়েন্টের পণ্য বা সেবা প্রচার প্রসার করা।
- লক্ষ্য উদ্দেশ্য: ইনফ্লুয়েঞ্জার দের ফলোয়ার্সদের কাছে ক্লায়েন্টের ব্র্যান্ডের দৃশ্যমানতা বাড়ানো। এবং বেশি বেশি তাদের ব্রান্ডের প্রচার করা।
- দক্ষতা: ইনফ্লুয়েঞ্জারদের কে খুঁজে বের করা, ক্যাম্পেইন ডিজাইন করা, পারফরম্যান্স ট্র্যাক করা।
৪. ইমেইল মার্কেটিং কনসালট্যান্ট:
- সেবা: ক্লায়েন্টদের ইমেইল মার্কেটিং কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নে সহায়তা করা। এবং ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা এবং তাদের কাছে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানানো।
- লক্ষ্য উদ্দেশ্য: ইমেইলের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে গ্রাহক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের বিক্রয় বাড়ানো।
- দক্ষতা: ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার ব্যবহার, ইমেইল কপি লেখা, ইমেইল ক্যাম্পেইন ডিজাইন করা ইত্যাদি।
৫, ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট:
- সেবা: ক্লায়েন্টের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইন তৈরি করা এবং পরবর্তীতে তা আবার ডেভেলপ করা।
- লক্ষ্য উদ্দেশ্য: ক্লায়েন্টের ব্যবসাকে অনলাইনে প্রদর্শন করা। এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা অনলাইনে প্রচার করতে সহায়তা করা।
৬, পে-পার-ক্লিক অথবা বিজ্ঞাপন:
- সেবা: গুগল বিজ্ঞাপন, ইউটিউব বিজ্ঞাপন ফেসবুক বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।
- লক্ষ্য উদ্দেশ্য : নির্দিষ্ট পণ্য দর্শকদের কাছে বারবার পৌঁছে দেয়া এবং তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনার ভিতর অতিরিক্ত কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে:
- মার্কেটিং জ্ঞান: বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল এবং পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার ভালো জ্ঞান থাকা চায়।
- ক্রিয়েটিভিটি: নতুন নতুন মার্কেটিং আইডিয়া তৈরি করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: বিভিন্ন মার্কেটিং এ অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
- কমিউনিকেশন দক্ষতা: গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে তাদের মনের অবস্থা বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। এবং তাদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া।
উপরোক্ত মার্কেটিং ব্যবসা থেকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যে কোন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে মার্কেটিং ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : ১০০০ টাকায় ব্যবসা করার দারুণ ১০টি আইডিয়া, প্রতিমাসে ৩৫০০০ টাকা আয়