আপনি কি উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় এ সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
ব্যবসার ক্ষেত্রে উৎপাদনমুখী ব্যবসার কোন বিকল্প নেই। উৎপাদনমুখী ব্যবসায় কম ব্যয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
এজন্য মানুষ দিন দিন উৎপাদনমুখী ব্যবসার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আপনিও যদি উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকার মধ্যে করতে চান, তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ পড়তে পারেন।
প্রথমত উৎপাদনমুখী ব্যবসা বলতে এমন ব্যবসা কে বুঝায় যেখানে মূল কাজ হলো বিশেষ কোন পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা হয়।
আজ আমি উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। অতএব ৫০০০ টাকার মধ্যে করতে চাইলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে ।
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
আমরা নিচে পর্যায়ক্রমে লাভজনক উৎপাদনমুখী ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
চলুন আলোচনার শুরু করা যাক।
১, সবজি ফলন:
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ সবজি খেতে পছন্দ করে। শহরের মানুষ তো সবজির প্রতি সর্বদা আগ্রহী হয়ে থাকে, তবে সব সময় পায় না।
কিন্তু সবজির চাহিদা সব থাকে। আর সবজি ফলন বা চাষ করা একটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা। আপনি চাইলে সবজি ফলনের এই উৎপাদনমুখী ব্যবসা করতে পারেন।
আর এই ব্যবসাটি ৫০০০ টাকায় করা সম্ভব। কারণ এতে খুব বেশি খরচ হয় না।
সবজি ফলনের পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো :
- চাষ করা: প্রথমে আপনাকে যেখানে সবজি ফলন করবেন সেই জায়গাটা একটু চাষ করে নিতে হবে। কারণ, সবজির বীজ বপন করতে হলে জায়গাটা ভেজা ও একটু চাষ জাতীয় হতে হয়।
- সংরক্ষণ করা: চাষ করে বীজ বা চারা বপনের পর আপনাকে সংরক্ষণের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। চতুর্দিকে দেয়াল বা ঘেরা দিয়ে আটকে রাখতে হবে। যাতে ছাগল বা গরু আপনার সবজির বাগান খেয়ে নষ্ট করে না দেয়।
- দেখাশোনা করা: সবজি ফলনের সময় একটু বেশি দেখাশোনা করা উচিত। কেননা, অনেক সময় সবজির ভিতর বিভিন্ন বিষাক্ত পোকামাকড় সৃষ্টি হয়। যা আপনার সবজির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য সব সময় দেখাশোনা করা। আর বিষাক্ত পোকামাকড় দেখা মাত্র তার উপযুক্ত কীটনাশক সার ইত্যাদি ব্যবহার করা।
২, হস্তশিল্প:
আপনি যদি হস্তশিল্পের কোন কিছু তৈরির ক্ষেত্রে পারদর্শী হন , তাহলে আপনি বাসায় বসে ৫০০০ টাকার মধ্যে সে সব দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে ভালো লাভজনক একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কারণ , বর্তমান সময়ে হস্তশিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এগুলো মানুষের খুব প্রিয় জিনিস। হস্তশিল্পের মধ্যে কয়েকটি প্রকার রয়েছে।
- কামার: আপনি যদি লোহা দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে পারেন, তাহলে করতে পারারবেন। যেমন – ছুরি,কোদাল, কাঁচি,কুড়াল, ইত্যাদি।
- কুমোর: আপনি যদি মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে পারেন, তাহলে সেগুলো ও করতে পারবেন। যেমন – মাটির তৈরি থালা-বাসন,মগ, বড় বড় পাত্র ইত্যাদি।
- হস্তশিল্পের আরেকটি বিশেষ প্রকার হলো হাতে সেলাই করে কিছু তৈরি করা । হাতে সেলাইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা জিনিসপত্রের চাহিদা অনেক বেশি। যেমন – হাতের সেলাই করা টুপি, খেতা, বালিশের কাভার ইত্যাদি।
৩, টেইলার্স ব্যবসা:
উৎপাদনমুখী পাঁচ হাজার টাকায় একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হলো টেইলার্স ব্যবসা। আমাদের দেশের মানুষ অধিকাংশ রুচিশীল।
এজন্য তারা পোশাকের ক্ষেত্রে রুচিশীল হয়ে থাকে। সুতরাং তারা কাপড় ক্রয় করে তারপর নিজেদের মন মতো শরীরের সাথে ফিটনেস রেখে সেলাই মেশিনের মাধ্যমে সেলাই করে পরিধান করে ।
এজন্য টেইলার্স ব্যবসা অনেক লাভজনক ব্যবসা। কারণ এই ব্যবসায় কাস্টমার সব সময় থাকে। টেইলার্স থেকে মানুষ স্বাভাবিকভাবে শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিস, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, পায়জামা, ইত্যাদি বানিয়ে থাকে।
৪, খাদ্যদ্রব্য:
আপনি ঘরে বসে পাঁচ হাজার টাকার মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করতে পারেন। যেমন – কেক, বিস্কুট, কেক, ইত্যাদি খাবারের আইটেম বানিয়ে আপনি বিক্রি করতে পারেন।
উপরোক্ত ব্যবসাগুলো মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন এবং এই ব্যবসাগুলো সব অনেক চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা।
পাশাপাশি ব্যবসাগুলো অনেক লাভজনক ব্যবসা। তবে প্রত্যেক ব্যবসার জন্য মূলধন অনুযায়ী একটি পূর্ব পরিকল্পনা করে সামনে এগিয়ে আসলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
পরিশেষে বলবো :
উপরে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : ১০০০ টাকায় ব্যবসা করার দারুণ ১০টি আইডিয়া, প্রতিমাসে ৩৫০০০ টাকা আয়