আপনি কি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনাময়ী ক্ষুদ্র ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যবসায়িক খাদ হিসেবে পরিচিত আমাদের দেশ।
এখানে আপনি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র যেকোন ব্যবসা করে সফলকাম হতে পারেন। তবে প্রতিটি ব্যবসার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু ধাপ মেনে চলতে হয়।
অর্থাৎ একের পর এক ধাপ পেরিয়ে আপনি চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
তাই আমি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ – ২০২৪
আমরা আজকের আর্টিকেলে ক্ষুদ্র ব্যবসা করার ধারাবাহিক ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক ।
১, ব্যবসার দক্ষতা ও আগ্রহ:
প্রথমত আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে দেখতে হবে কোন ব্যবসার প্রতি আপনার বেশি আগ্রহ রয়েছে।
পাশাপাশি কোন ব্যবসায় আপনার বেশি দক্ষতা রয়েছে। আপনার দক্ষতা ও আগ্রহ কে বিবেচনা করে আপনাকে যে কোন ব্যবসার প্রতি মনস্থির করতে হবে। আপনার বেশি আগ্রহ ও দক্ষতা থাকায় দ্রুত সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২, বাজার চাহিদা:
আপনাকে কোন ব্যবসা শুরু করতে হলে ওই ব্যবসা সম্পর্কে বর্তমান বাজার গবেষণা করতে হবে।
অর্থাৎ বর্তমান বাজারে আপনার নির্দিষ্ট ব্যবসার চাহিদা কেমন রয়েছে তা বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি বাজার গবেষণার মাধ্যমে আপনাকে পুরো ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এবং স্থানীয় বাজারে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে হবে।
৩, প্রতিযোগিতা:
আপনার নির্দিষ্ট ব্যবসায় আপনার প্রতিযোগিতার রয়েছে এবং তাদের ডিমান্ড কেমন এবং তারা কোন সিস্টেমে ব্যবসা পরিচালনা করে এবং কিভাবে কাস্টমার ধরে রাখে এইসব বিষয়েও আপনাকে গবেষণা করতে হবে।
৪, ব্যবসায়িক পূর্ব পরিকল্পনা:
আপনি যখন কোন ব্যবসা শুরু করবেন তার আগে আপনাকে পূর্বপরিকল্পনা করতে হবে। অর্থাৎ আপনার নির্দিষ্ট ব্যবসার জন্য একটি ব্যবসায়িক কাঠামো তৈরি করতে হবে।
যেমন আপনার ব্যবসার পণ্য কি কি হবে, এবং তা কিভাবে উৎপাদন অথবা ক্রয় করবেন, এবং কিভাবে আপনার পণ্যগুলো বাজারজাত করবেন।
এইসব বিষয় মিলে পূর্ব থেকে একটি ছক তৈরি করে রাখতে হবে। ব্যবসার পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনার জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
৫, নিবন্ধন এবং লাইসেন্স:
আপনার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য আপনাকে ব্যবসায়িক নিবন্ধন এবং উদ্দেশ্য ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি কাগজপত্র অর্থাৎ লাইসেন্স তৈরি করতে হবে।
যাতে পরবর্তীতে আপনাকে কোন হয়রানির শিকার না হতে হয়। এজন্য আপনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে পারেন।
৬, মূলধন:
প্রত্যেকটি ব্যবসার জন্য মূলধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ব্যবসার লাভের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার মূলধনের উপর।
আপনি ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা করতে চাইলেও আপনাকে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণে মূলধন রাখতে হবে।
প্রয়োজনে আপনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন ওঠাতে পারেন। আবার বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের থেকেও অর্থ গ্রহণ করতে পারেন।
৭, স্থান নির্বাচন:
প্রতিটি ব্যবসার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল স্থান নির্বাচন করা। আপনার ব্যবসার জন্য আপনাকে উপযুক্ত একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে।
অর্থাৎ আপনার উদ্দেশ্য ব্যবসার পণ্য সামগ্রী কোথায় বেশি চাহিদা রয়েছে সে দিক বিবেচনা করে আপনাকে স্থান নির্বাচন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যেসব স্থানে মানুষের বেশি যাতায়াত এবং সমাবেশ হয়ে থাকে, সে দিকটা বেশি প্রাধান্য দিতে পারেন।
৮, কর্মচারী নিয়োগ:
আপনার ব্যবসার জন্য যদি কর্মচারী নিয়োগ দিতে হয়, তাহলে নিয়োগ দিতে হবে। তবে নিয়োগ দেওয়ার সময় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
আর যদি নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেন তাহলে তার প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। অর্থাৎ সপ্তাহে একদিন কর্মচারীদের কে নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯, মার্কেটিং:
আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসাকে ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং করতে হবে।
আপনার ব্যবসা যত বেশি প্রচার-প্রসার হবে, আপনি তত দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
১০, গ্রাহক সেবা:
সব সময় আপনার গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং তাদেরকে কখনো ঠকানো যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ে তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে হবে।
পরিশেষে বলবো :
উপরে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন :