আপনি কি জুতার ব্যবসা আইডিয়া খুঁজতেছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
জুতা মানব জীবনের অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ একটি অংশ। অর্থাৎ সব ধরনের এবং সব শ্রেণীর মানুষের জন্য জুতা অপরিহার্য একটি পোশাকের অন্তর্ভুক্ত।
দৈনন্দিন জুতা ব্যবহার করা অপরিহার্য বিষয়। সুতরাং সার্বক্ষণিক উচ্চ চাহিদাপূর্ণ জুতার এই ব্যবসা করা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী এবং লাভজনক ব্যবসা।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জুতার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আইডিয়া দিবো।
পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
জুতার ব্যবসা আইডিয়া ২০২৪
প্রথমত জুতার এই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনার জন্য বেশ কিছু বিষয় জানা থাকা আবশ্যক। নিচে গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
১, বাজার গবেষণা :
মনে রাখবেন প্রতিটি ব্যবসার ক্ষেত্রে বাজার গবেষণা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাজার গবেষণার মাধ্যমে আপনার জন্য ব্যবসা করা সহজ হয়ে যাবে।
আপনার নির্দিষ্ট এলাকার বর্তমান জুতার বাজারের চাহিদা কেমন এবং আপনার ব্যবসার গ্রাহকরা হবে এবং তাদের পছন্দ কেমন এসব বিষয় আপনাকে গবেষণা করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের থেকে সুন্দর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
২, মূলধন:
ব্যবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মূলধন। আপনার ব্যবসার লাভের পরিমাণটাও নির্ভর করে আপনার মূলধনের উপর।
এজন্য জেতার ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনার মূলধনের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার জুতার ব্যবসার জন্য একটি দোকান ভাড়া নিতে হবে এবং আপনাকে জুতা ক্রয় করতে হবে।
পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে এইসব মিলিয়ে আপনার কি পরিমান মূলধনের প্রয়োজন হবে তা একত্রিত করতে হবে। আপনি ব্যবসার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় লোন উত্তোলন করতে পারবেন।
৩, স্থান নির্বাচন:
ব্যবসার দ্রুত উন্নতি সাধন করতে হলে আপনার জুতার এই ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।
আপনার ব্যবসার জন্য ধানের বাচনের ক্ষেত্রে নাকি খেয়াল করতে হবে যে যেখানে মানুষের আনাগোনা খুব বেশি হয়।
এবং সর্বদা প্রায় জনসাধারণের উপস্থিতি থাকে এমন একটি জায়গা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি স্থানীয় বাজারে অথবা বড় কোন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির সামনে অথবা মসজিদ মাদ্রাসার সামনেও নির্বাচন করতে পারেন।
৪, জুতার ধরন:
প্রথমে আপনার গ্রাহকদের কে টার্গেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন শ্রেণীর মানুষের জুতা বিক্রয় করবেন তা নির্বাচন করতে হবে।
যেমন পুরুষ মহিলা শিশু নাকি সব শ্রেণীর মানুষের জুতায় বিক্রি করবেন। আমাদের দেশে জুতার বিভিন্ন ধরন – ফ্যাশন জুতা, স্পোর্টস জুতা, এবং ফরমাল জুতা ইত্যাদি।
৫, সরবরাহ স্থান:
আপনি কোথা থেকে পাইকারি দরে জুতা করাই করবেন সেই স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে। যাতে করে বিশ্বস্ততা এবং আমানতদারিতা বজায় থাকে।
৬, লাইসেন্স ও অনুমতি :
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে সরকারি কিছু দিকনির্দেশনা এবং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। সুতরাং আপনাকে জুতা ব্যবসার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অনুমতি নিতে হবে।
৭, মার্কেটিং:
মার্কেটিং হল ব্যবসায় লাভবান হওয়া এবং ব্যবসাকে জনসাধারণের কাছে প্রচার প্রসার করার অন্যতম মাধ্যম।
আপনার ব্যবসার মার্কেটিং যত বেশি হবে আপনার পণ্যের বিক্রয়ও তত বেশি হবে। তখন লাভের পরিমাণটাও বৃদ্ধি পাবে।
এজন্য আপনার জুতার এই ব্যবসা জন্য প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং অর্থাৎ প্রচার প্রসার করতে। যেমন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অনলাইনে ফেসবুক পেইজে অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।
আরো পড়ুন :
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা : ১৬টি আনকমন ব্যবসার আইডিয়া ।
- বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা আইডিয়া: প্রতিমাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় ।
এখন আমরা জুতা ব্যবসার বিভিন্ন ধরন নিয়ে আলোচনা করবো:
- পাইকারি ব্যবসা: জুতা ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের ব্যবসা হল পাইকারি জুতার এই ব্যবসা করা। বিভিন্ন জুতা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে যুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পাইকারি জুতার ব্যবসা করা।
- খুচরা ব্যবসা: বর্তমান সময়ে সবচেয়ে প্রচলিত ব্যবসা হল খুচরা জুতার এই ব্যবসা করা। এক্ষেত্রে আপনি পাইকারি ব্যবসায়ীদের থেকে জুতা করাই করতে পারেন অথবা সরাসরি কোন জুতা কোম্পানির সাথে ডিল ও করতে পারেন।
- অনলাইন বিক্রয়: আধুনিকতার যুগে সব ধরনের ব্যবসা অনলাইনে গড়ে উঠেছে। এজন্য আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ও জুতার এই ব্যবসা করতে পারবেন।
পরিশেষে বলবো :
উপরে জুতার ব্যবসা আইডিয়াসম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।