আপনি কি পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
বর্তমান আমাদের দেশে ধনী গরীব প্রায় সবার বাসায় ফ্রিজের চাহিদা রয়েছে এবং অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে এই চাহিদা পুরনো করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে ফ্রিজের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় ও বিক্রয় ব্যবসা অনেক সম্ভাবনাময়ী এবং লাভজনক একটি ব্যবসা।
তবে পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় বিক্রয় ব্যবসাটি লাভজনক করতে হলে আপনাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।
তাই আমি পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম – ২০২৪
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় এবং বিক্রয় ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবো।
পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো লক্ষ্যনীয় :
প্রথমত পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। সে সব বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
১, বাজেট নির্ধারণ:
পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কি পরিমান বাজেটের মধ্যে পুরাতন ক্রয় করবেন ।
স্বাভাবিকভাবে পুরাতন ফ্রিজের দাম নতুন ফ্রিজের তুলনায় কম হলেও, ফ্রিজের মডেল, অবস্থা এবং ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে তার দামের মধ্যেও পার্থক্য চলে আসে।
২, ব্র্যান্ড ও মডেল নির্বাচন:
সব ধরনের পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করলে পরবর্তীতে মেরামত করে বেশি বললে বিক্রয় করা যায় না।
সুতরাং আপনাকে পুরাতন প্লিজ ক্রয় করার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং মডেল দেখে ক্রয় করতে হবে।
কেননা জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং মডেলের ফ্রিজগুলো পুরাতন হলেও পারফরম্যান্স এবং সার্ভিসও ভালো দিয়ে থাকে।
সুতরাং পরবর্তীতে এই পুরাতন ফ্রিজগুলো আপনার বিক্রয় করতে অনেক সুবিধা হবে।
৩, সার্বিক পরীক্ষা:
পুরাতনী ক্রয় করার সময় আপনাকে ফ্রিজ সম্পর্কিত সার্বিক পরীক্ষা করে ভালো-মন্দ বুঝে নিতে হবে।যেমন –
- ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা : ফ্রিজটির যথাযথভাবে তার ভিতরে থাকা খাবারগুলো ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা আছে কিনা, তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া।
- ফ্রিজের শব্দ: ফ্রিজের শব্দ ঠিকঠাক আছে কিনা, অর্থাৎ ফ্রিজ চালু করার পর অতিরিক্ত শব্দ করে কিনা সেটাও ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
- ক্ষতির কারণ: বৃষ্টির সার্বিক বিবেচনায় কোন ক্ষতির কারণ আছে কিনা তাও ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। যেমন – ফ্রিজের কথাও কোনো বড় ধরনের দাগ কিংবা জং আছে কিনা, এবং ফ্রিজের দরজার উপরে ব্রান্ডের সিল আছে কিনা। খুঁটিনাটি সব বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে।
৪, পুরাতন ফ্রিজ ক্রয়ের স্থান:
আপনাকে পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করতে হলে একটি বিশ্বস্ত স্থান দেখে ক্রয় করতে হবে। যেখানে সাধারণত মানুষ আস্থা রেখে ক্রয় করে থাকে।
সে ক্ষেত্রে আপনার এলাকায় স্থানীয় বাজারে যদি পুরাতন ফ্রিজ পাওয়া যায় সেখান থেকেও ক্রয় করতে পারেন।
আবার অনলাইনে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করতে পারেন। যেমন – বিক্রয় ডট কম, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ইত্যাদি।
উপরোক্ত আলোচনা গুলো বিবেচনা করে আপনি পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় করতে পারেন।
ফ্রিজ বিক্রয় করা সম্পর্কে জরুরী বিষয়:
এখন নিচে আমরা প্রথম ফ্রিজ বিক্রয় করা সম্পর্কে জরুরী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো ।
১, ফ্রিজ পরিষ্কার:
ফ্রিজ বিক্রয়ের পূর্বে আপনাকে ফ্রিজটি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কেননা আমাদের সমাজের মানুষ অনেক রুচিশীল। সুতরাং তাদের পছন্দের জন্য উপযোগী হিসেবে ফ্রিজকে উপস্থাপন করতে হবে।
২, মূল্য নির্ধারণ:
মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে আপনাকে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনার ফ্রিজের ব্রান্ড মডেল এবং অবস্থা সম্পর্কে বিবেচনা করে পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে অন্যান্য ফ্রিজের দোকানে মূল্য বিবেচনা করে একটি যুক্তিসঙ্গত দাম নির্ধারণ করতে হবে।
৩, মার্কেটিং:
আপনার ফ্রিজ বিক্রয়ের ব্যবসাটি প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং করতে হবে। কেননা মার্কেটিং বেশি হলে ব্যবসা ভালো চলে।
৪, অনলাইন বিক্রয়:
বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবসার জন্য একটি বিরাট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠেছে। সুতরাং আপনি অনলাইনেও ফ্রিজ বিক্রয় করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে একটি পেজ অথবা ওয়েবসাইট খুলতে হবে। এবং সেখানে তার ফ্রিজের ব্রান্ড, মডেল এবং অবস্থা সহ সর্ব বিষয়ে বিবরণ দিয়ে মূল্য সহ আপলোড দিতে হবে।
পরিশেষে বলবো :
উপরে পুরাতন ফ্রিজ ক্রয় বিক্রয় করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন :