আপনি কি সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।
সয়াবিন তেলের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। বিশেষ করে আমাদের দেশে সয়াবিন তেল মানুষের প্রতিনিয়ত খাবারের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ।
সুতরাং এই ব্যবসাটি একটি চলমান এবং লাভজনক ব্যবসা। প্রত্যেক ব্যবসার মতোই সয়াবিন তেল নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
তাই আমি সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যাতে করে আপনি কোন প্রবলেমের মুখামুখি না হন। এ জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে ।
সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা – ২০২৪
আমরা নিচে সয়াবিন তেল নিয়ে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য দিবো।
সয়াবিন তেলের ব্যবসা শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ :
প্রথমত সয়াবিন তেলের ব্যবসা শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো আপনাকে খেয়াল করতে হবে।
১, বাজার গবেষণা:
প্রথমত আপনাকে সয়াবিন তেলের বাজার চাহিদা এবং এই ব্যবসায় আপনার প্রতিযোগী কারা তাদের ব্যবসার সিস্টেম কেমন এবং তারা কেমন নাম রেখে সয়াবিন তেল বিক্রি করে এসব বিষয়ে আপনাকে গবেষণা করতে হবে।
এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে সমন্বয় রেখে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে। সয়াবিন তেলের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে আপনি কোন ধরনের সয়াবিন তেলের ব্যবসা করবেন সে লক্ষ্যবস্তু স্থির করতে হবে।
এবং সাথে সাথে কোথায় সয়াবিন তেল স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় সে সমস্ত মার্কেট নিয়েও আপনাকে গবেষণা করতে হবে। মোট কথা প্রথমে বাজার গবেষণা করে আপনাকে ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ একটি ছক তৈরি করতে হবে।
২, মূলধন:
যেহেতু সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা সুতরাং প্রাথমিক পর্যায়ে তেল ক্রয় করার জন্য আপনার একটি মোটামুটি অংকের মূলধনের প্রয়োজন হবে।
পাশাপাশি আপনার আরও বিভিন্ন খরচাদি সম্পর্কেও ভাবতে হবে। যেমন- আপনার সয়াবিন তেল নিয়ে পাইকারি ব্যবসার জন্য একটি গোডাউন এবং একটি পরিবহন ।
এবং প্রয়োজনে কর্মচারী নিয়োগ সহ আরো বিভিন্ন করও যদি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে হবে । তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন।
৩, লাইসেন্স:
একটা ব্যবসাকে দীর্ঘ করতে এবং নিরাপদ রাখতে আপনাকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাইসেন্স করতে হবে। অন্যথায় আপনি সরকারি বিভিন্ন মামলার হয়রানির শিকার হতে পারেন।
৪, গোডাউন:
পাইকারি তেল কড়াই করার পর তা বিক্রয়ের স্থান এবং তেল সংরক্ষণের জন্য আপনাকে একটু উপযুক্ত গোডাউন ভাড়া নিতে হবে।
৫, পরিবহন:
আপনি যেহেতু সয়াবিন তেল নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করবেন এজন্য আপনার ব্যবসাকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে আপনাকে একটি নিজস্ব পরিবহন ক্রয় করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের চাহিদা যথাসময়ে পূরণ করতে সক্ষম হন।
৬, স্থান নির্বাচন:
আপনার সয়াবিন তেল নিয়ে পাইকারি ব্যবসার জন্য আপনাকে বড় ধরনের জনসমাবেশ হয় এমন বাজারে স্থান নির্বাচন করতে হবে।
অর্থাৎ আপনার পাইকারি কাস্টমার আসা-যাওয়া করে এমন বড় বাজারই আপনার সয়াবিন তেলের ব্যবসা করার উপযুক্ত স্থান।
সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসার বিভিন্ন ধাপসমূহ:
১, ডিলারশিপ:
আপনি বিভিন্ন বড় বড় তেলের ফ্যাক্টরির সাথে যোগাযোগ করে তাদের ডিলারশিপ ক্রয় করতে পারেন।
তারা কয়েক বছর পর পর তাদের ডিলারশিপ বিক্রয় করেন। ডিলারশিপ ব্যবসায় তুলনামূলক অন্যান্য ব্যবসা থেকে লাভের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। যদিও ডিলারশিপ ব্যবসা করতে অনেক বেশি পরিমাণের মূলধনের প্রয়োজন হয়।
২, পাইকারি ব্যবসা:
সয়াবিন তেলের পাইকারি দ্বিতীয় প্রকারের ব্যবসা হল আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারশিপদের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পাইকারি দরে সয়াবিন তেল ক্রয় করবেন।
অথবা আপনি কোন সয়াবিন তেলের ফ্যাক্টরির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনার নিজস্ব এরিয়ায় যে সমস্ত খুচরা সয়াবিন তেলের দোকান রয়েছে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
এবং তাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের দোকানগুলোতে আপনি সয়াবিন তেল সরবরাহ করবেন।
সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা শুরু করার পর আরও কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয় বিষয়:
সয়াবিন তেল পাইকারি ব্যবসা শুরু করার পর আপনার জন্য আরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
- গুণগতমান বজায় : স্বাভাবিকভাবে সব মানুষই সব সময় ভালো মানের সয়াবিন তেল ক্রয় করতে চায়। সুতরাং সব সময় তাদেরকে ভালো মানের সয়াবিন তেল সরবরাহ করতে হবে।
- সদাচরণ: কাস্টমারদের সাথে সব সময় সদাচরণ করা উচিত। তাদের সাথে উত্তেজিত না হয়ে যেকোনো বিষয়ে বুঝিয়ে বলা দরকার।
পরিশেষে বলবো :
উপরে সয়াবিন তেলের পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। যদি বিষয়গুলো আপনি ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন :